কানাডার টরেন্টোতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে কণ্ঠশিল্পী লিলি ইসলামের একক সঙ্গীতসন্ধ্যা। সঙ্গে সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন অন্যস্বর টরন্টো ও অন্যথিয়েটারের শিল্পীরা।
‘আলোকে উজ্জ্বল জীবনে চঞ্চল আনন্দ গান গা রে হৃদয়’ শীর্ষক রবীন্দ্রনাথের গানের সন্ধ্যার প্রথম ভাগে ছিল অন্যস্বরের শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে আসিফ চৌধুরী বিশ্বকবির ‘কোলাহল তো বারণ হলো’ গানটি পরিবেশনা করেন। মৈত্রেয়ী দেবী পরিবেশন করেন রাগ কীর্তন, দাদরা তালের ‘আমি তখন ছিলাম মগন গহন ঘুমের ঘোরে যখন বৃষ্টি নামলো’। ফারজানা বেবী ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’ গানটি পরিবেশন করেন।
বিজ্ঞাপন
রিক্তা মজুমদার ‘হৃদয়ের একুল ওকুল দুকূল ভেসে যায়’ গানটি পরিবেশন করেন। কণ্ঠশিল্পী মেহজাবিন বিনতে ওসমান পরিবেশন করেন ‘আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে’। শিরিন চৌধুরী পরিবেশন করেন ‘মম চিত্তে নিতি নৃত্যে’। রনি মজুমদার পরিবেশন করেন ‘আমার যেদিন ভেসে গেছে ’। কণ্ঠশিল্পী ফারহানা শান্তা পরিবেশন করেন ‘খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে।
অন্যস্বর টরন্টোর শিল্পীদের পর সঙ্গীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী লিলি ইসলাম। প্রচলিত অপ্রচলিত মিলিয়ে তিনি বেশকিছু রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিনি। প্রতিটি গানই দারুণ উপভোগ্য ছিল। সঙ্গে বাড়তি পাওনা ছিল ছোট ছোট করে তার অভিজ্ঞতা, স্মৃতি থেকে কিছু কথা জুড়ে দেওয়া। দর্শক শ্রোতারা দারুণভাবে উপভোগ করেছেন কথার মাঝে সঙ্গীত পরিবেশনা।

কীবোর্ডে ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক জাহিদ হোসেন, তবলায় রনি পালমার, মন্দিরায় জনি ফ্রান্সিস গোমেজ। উপস্থাপনায় ছিলেন আহমেদ হোসেন ও মুনিমা শারমিন। শব্দ নিয়ন্ত্রণ করেছেন মামুনুর রশীদ।
বিজ্ঞাপন
আবৃত্তি করেছেন মুনিমা শারমিন, আহমেদ হোসেন, দিলারা নাহার বাবু, ফারিয়া শারমিন সেহেলি, ফারিহা রহমান, নার্গিস রুপক।
অনুষ্ঠানের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন মঈন হোসেন ময়না, নার্গিস রুপক, মুনির বাবুসহ অনেকে।

