মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কানাডায় হেমন্তের সন্ধ্যায় সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘তুমি যে আমার কবিতা’

লায়লা নুসরাত, কানাডা থেকে
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

কানাডায় হেমন্তের সন্ধ্যায় সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘তুমি যে আমার কবিতা’
কানাডায় হেমন্তের সন্ধ্যায় সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘তুমি যে আমার কবিতা’

কানাডার ক্যালগেরির কিনকরা সাইমন ভ্যালি চার্চে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ‘তুমি যে আমার কবিতা’ সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপুস ক্রিয়েটিভ হাউস আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী উম্মে হাবিবা মিলি ও মিজান রহমান।

বাংলার হেমন্ত যেন ঋতু বৈচিত্রের এক অপার বিস্ময়। ঝরে যাওয়া গাছের পাতা, নীল আকাশ, শুভ্র মেঘের সারি আর শিউলি শেফালী ভোরের শিশিরে স্নাত হয়ে ঘাসের ওপর বিছিয়ে থাকা ফুলে যেন বিনম্র অঞ্জলি। দূর প্রবাসে বসে এসব স্মৃতি মনে হতেই চোখে ভেসে ওঠে অগ্রহায়ণ মাসের কথা।


বিজ্ঞাপন


হেমন্ত এলে শাপলা শালুকের ফুটে ওঠা, কাশফুল, সাথে মেঘ আর রোদের লুকোচুরির মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টিতে বাংলার প্রকৃতি যখন উন্মাতাল, তখন কানাডার চিত্র পুরোই ভিন্ন।

বছরের প্রায় আট মাসই বরফাচ্ছাদিত থাকলেও লোকজ ভাবনা, বাংলার প্রকৃতির ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় প্রবাসীদের হৃদয় মন ভরে ওঠে প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে।

সঙ্গীতানুষ্ঠানে আবহমান বাংলার কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সত্ত্বাকে তুলে ধরা হয় হারানো দিনের গানের মধ্যে দিয়ে। সেই সাথে বাঙালির চিরাচরিত আড্ডা আর একে অন্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়।

অগ্রহায়ণ মাস মানেই কৃষকের ঘরে আমন ধান কাটার উৎসব। গ্রামের ঘরে ঘরে চলে নানারকম পিঠার আয়োজন। চলে নবান্ন উৎসব। প্রবাসে নবান্ন উৎসব না থাকলেও হারানো দিনের বাংলা গান দিয়ে তুলে ধরা হয় আবহমান বাংলার প্রকৃতি ও সংস্কৃতিকে।


বিজ্ঞাপন


অপুস ক্রিয়েটিভ হাউসের স্বত্ত্বাধিকারী ফজলে এলাহি অপু বলেন, প্রথমবারের মতো একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। ছোট্ট বেলার সেই ৭০-৮০ দশকের সময়ের কিছু গান এখনো আমাদের হৃদয়ে। প্রবাসে থাকলেও আমরা ভুলতে পারিনি আমাদের মা-মাটি-দেশ। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও আমরা ফিরে গিয়ে ছিলাম বাংলাদেশে। আপনাদের ভালোবাসা পেলে প্রবাসে এই ধরনের অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে চাই।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর