শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

উত্তরাধিকার রেখে যাননি ‘দাদাভাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২৩, ০৩:৫০ পিএম

শেয়ার করুন:

উত্তরাধিকার রেখে যাননি ‘দাদাভাই’

'রাজনীতির রহস্যপুরুষ' ও 'দাদাভাই' হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খান চলে গেছেন না ফেরার দেশে। রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক তাত্ত্বিক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ছিলেন তিনি। ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তবে বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী এই মানুষটি নিজের ব্যাপারে ছিলেন উদাসীন। এজন্য করেননি ঘর-সংসার। বসেননি বিয়ের পিঁড়িতে। ফলে ঔরসজাত কোনো উত্তরাধিকারী তিনি রেখে যেতে পারেননি।

১৯৪১ সালে জন্ম নেওয়া সিরাজুল আলম খান ৮২ বছরের জীবনে কেবল ব্যক্তি নন, বনে গেছেন পুরোদস্তর প্রতিষ্ঠানে। ব্রিটিশ ভারত, পাকিস্তান এরপর বাংলাদেশ- তিনটি আলাদা আলাদা শাসনামল এবং রাজনীতির সাক্ষী ছিলেন সিরাজুল আলম খান।


বিজ্ঞাপন


নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। যা ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ নামেও পরিচিত। এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ গঠন এবং ‘৭ নভেম্বর ১৯৭৫’ এর নেপথ্য পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিরাজুল আলম খান।

এই দুটি বৃহৎ ঘটনায় তার সহযোদ্ধা ছিলেন মেজর (অব.) জলিল, আ স ম আবদুর রব এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু তাহের প্রমুখ।

khan2

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সিরাজুল আলম খান ভিন্ন ভিন্ন তিন মেয়াদে প্রায় সাত বছর কারাভোগ করেন। কনভোকেশন মুভমেন্টের কারণে ১৯৬৩ সালের শেষ দিকে গ্রেফতার হন। ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে আবার গ্রেফতার এবং ১৯৭৯ সালে মুক্তি পান। ১৯৯২ সালে বিদেশ যাবার প্রাক্কালে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ২৪ মার্চ সিরাজুল আলম খানকে গ্রেফতার করা হলে চার মাস পর হাইকোর্টের রায়ে মুক্তি পান।


বিজ্ঞাপন


ঘটনাবহুল ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী সিরাজুল আলম খান 'দাদাভাই' হিসেবে পরিচিত। তবে তার কোনো নাতি-নাতনি নেই। নেই ছেলে-সন্তান৷ মূলত জীবনে বিয়েই করেননি তিনি। তবে ভাই-ভাতিজা রয়েছেন, যাদের তত্ত্বাবধানেই তিনি জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন।  

কারই/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর