সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ দশা বিএনপি নেতাকর্মীদের

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম

শেয়ার করুন:

‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ দশা বিএনপি নেতাকর্মীদের

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে আসছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে মুহূর্তে মুহূর্তে পাল্টাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ। তবে এনিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির মাথাব্যথা না থাকলেও মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের অবস্থা এখন ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’। 

তাদেরই একজন আলতাফ হোসেন সুমন। সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তিনি। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে। তারমতে— নির্বাচনে অংশ নিলে সুবিধা হবে তার জন্য। এলাকায় পরিচিতি ও স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে। অন্যদিকে নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের সুবিধা। সেক্ষেত্রে তিনি পরিচিতি পাবেন দলের অনুগত কর্মী হিসেবে। 


বিজ্ঞাপন


সুমন বলেন, দু’বছর আগ থেকে নির্বাচনের জন্য কাজ করেছি। সেসময় কাউন্সিলদের নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত ছিল না। মানুষকে আশ্বাস দিয়েছি, আমি নির্বাচন করবো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি। কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারছি না। 

এদিকে একই অবস্থা রাজশাহীর নুরুজ্জামান টিটোরও। তিনি সিটি করপোরেশেনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির ছাত্র সংগঠনের এই নেতা, শুরু করেছেন জনসংযোগও। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে পড়েছেন দোটানায়। তিনি মনে করেন—আমরা যেহেতু তৃণমূলকে নিয়ে চলি। আমরা তাদের ভালোবাসা-মনোভাবটা বুঝতে পারি। এই নির্বাচনে অংশ নিলে ভালো হতো, তারা চায় আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি।

কঠোর অবস্থান ও উভয় সংকট
আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির যে মনোভাব, মাঠপর্যায়ে নেতাকর্মীদের ঠিক উল্টো। তবে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দলটির নীতি নির্ধারকরা। অবশ্য বর্তমান সরকার বা ইসির অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছিল বিএনপি। এজন্য নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনও করছে তারা। সে অনুযায়ী পাঁচ সিটি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে ভোট না দিতেও আহ্বান জানিয়েছে তারা।


বিজ্ঞাপন


বিএনপির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলোর দিকে লক্ষ্য করলেই প্রকাশ পায় নির্বাচনে তাদের কঠোর মনোভাবের দিক। গেল মঙ্গলবার (১৬ মে) দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় গাজীপুরের ২৯ নেতাকর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে দলটি। 

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। দলটির সিনিয়র এই নেতা বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো উপায়ও নেই। অবৈধ সরকার ও তাদের ইসির অধীনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা আন্দোলনে আছি, সেখানে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই প্রেক্ষাপটে আমরা দৃঢ় অবস্থান নিয়েছি। যারা আমাদের অবস্থানের বিরুদ্ধাচরণ করবে তাদের ব্যাপারে অ্যাকশন নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

গাজীপুর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দেখে চিন্তিত রাজশাহীর নুরুজ্জামান টিটো। নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা তা নিয়ে আছেন সংশয়ে। তিনি বলেন, নির্বাচন করার চিন্তাভাবনা থেকেই নমিনেশন তুলেছিলাম। এখন দলীয় নেতাকর্মীদের ডেকেছি। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। যেহেতু সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে দল একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাকিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই আমি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে চাই।

বিএনপির কোনো কোনো কেন্দ্রীয় নেতা বুঝতে পারছেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মাঝে উভয় সংকট তৈরি হয়েছে। এনিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন দলটির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, বিষয়টি ভিন্নরূপ ধারণ করেছে। কারণ কাউন্সিলর পদে তো দলীয় প্রতীক ব্যবহৃত হয় না, আর কিছু কিছু কাউন্সিলর আছেন যারা আগে থেকে নির্বাচিত ও জনপ্রিয়; তারা হঠাৎ করে না এখান থেকে সরে যেতে পারছেন আর না দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারছেন। 

বহিষ্কারকে পাত্তা দিচ্ছেন না অনেকে
আন্দোলন বা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। কিন্তু তাদের মাঠ পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করছেন। এনিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্ট মতানৈক্য অনেকটাই স্পষ্ট। নির্বাচনে অংশ নিয়ে বহিষ্কারের ঝুঁকি থাকলেও সেটি মেনে নিতে প্রস্তুত অনেকে।

হাবিবুর রহমান বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশ নিতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার ঝুঁকি আছে, তবুও নির্বাচনে থাকবেন। 

হাবিবুর বলেছেন, দল থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করা যাবে না, এমন বিধিনিষেধ আগে দেওয়া হয়নি। তাছাড়া এই পদে তো দলীয় ব্যানারে নির্বাচন হচ্ছে না। গত ৪ বছর এই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। স্থানীয় জনগণের ও তৃণমূলের কর্মীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই কাউন্সিলর নির্বাচন করার চিন্তাভাবনা করছি।

হাবিবের মতো একই চিন্তা করছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সাজ্জাদ হোসাইন। কাউন্সিলর পদে অংশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বহিষ্কারের ঝুঁকি আছে। তবুও নির্বাচনে অংশ নিতে চান তিনি।

সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, এই অঞ্চলের জনগণ আমাকে চায়। আমি দীর্ঘকাল তৃণমূলে কাজ করি, মানুষের বিপদ-আপদে সবসময় পাশে থাকি। তারা চায়, আমি এখানে প্রার্থী হই এবং নির্বাচন করি। নির্বাচন যদি স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য হয়, আমি শতভাগ আশাবাদী, আমি নির্বাচিত হবো। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঝুঁকি আছে জানি। দল যদি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় নেবে। আমার আর কী করার আছে। 

তবে দল থেকে বহিষ্কার হওয়া নিয়ে অনেকে মনে করেন, প্রতিকূলতা পেরিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারলে দলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়ে যাবে।

এদিকে চলতি ও আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হবে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এরমধ্যে চলতি মাসের ২৫ তারিখ ভোটগ্রহণ হবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে। ১২ জুন ভোটগ্রহণ হবে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে। এছাড়া ২১ জুন একযোগে ভোটগ্রহণ হবে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে। এই পাঁচ সিটিতে কাউন্সিলপ পদে অংশ নিতে আগ্রহী বিএনপির শতাধিক নেতা। যদিও বিএনপির দলীয় পদে আছেন, এমন কোনো নেতা মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।

আরিফকে নিয়ে ধোঁয়াশা
২০১৮ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী। নানান আলোচনা-সমালোচনায় পাঁচ বছরের মেয়াদকাল পেরিয়েছেন তিনি। তবে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়ে ধোঁয়াশা। যদিও দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে যাওয়ার কথা নয় তার।

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আগামী ২০ তারিখে আমার অবস্থান পরিষ্কার করবো। এরমধ্য দলের অবস্থান পরিষ্কার। আমার এলাকার লোকজন আমাকে ভোট দিয়েছে, যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, আমি তাদের প্রতি সম্মান রেখে এই ৪২টা ওয়ার্ডে তাদের মতামত নিচ্ছি। 

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে নির্বাচনে অংশ নিলে আরিফুল হকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে তার দল। বিএনপির নেতারাও আভাস দিয়েছেন তেমনটাই। জানা গেছে, নির্বাচনে অংশ না নিতে ইতোমধ্যে দলের ৩২ নেতাকে চিঠি দিয়েছে মহানগর বিএনপি। 

কেন্দ্রের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব?
বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, দলীয়ভাবে সিটি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এর সঙ্গে একমত নন তৃণমূলের নেতারা। যেসব মহানগরে নেতারা নির্বাচন করা চেষ্টা করছেন, তাদের সঙ্গে দলের সিনিয়ররা আলাদাভাবে যোগাযোগ করছেন। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দলের নির্দেশনা অমান্য করে যারা নির্বাচনে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে গাজীপুরের মতোই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এমন ব্যবস্থার সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে বরিশালের হাবিবুর রহমানের অনেক নেতার। অন্যান্য জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীরাও একই রকম কথা বলেছেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, গাজীপুরের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি একমত না। রাজনৈতিক চিন্তাভাবনায় আমার একটা ভুল হতে পারে। আর আমরা তো ধানের শীষের মার্কা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন করছি না। সেজন্য শাস্তি হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করা যেতে পারে। কিন্তু আজীবনের জন্য বরখাস্ত করা- সেরকম কার্যকলাপ হয়নি বলে আমার মনে হয়।

বিগত কয়েক বছরে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় অনেক নেতাকেই বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে অন্যতম নারায়নগঞ্জে তৈমুর আলম খন্দকার এবং কুমিল্লার মনিরুল হক সাক্কু। তারা এখনো বহিষ্কার অবস্থায় রয়েছেন।

মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হলে বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তা তুলে ধরতে পারতো। আবার বিএনপির প্রার্থীদের হটাতে সরকার কারচুপি করলে নির্বাচনী ব্যবস্থা বিতর্ক আরও জোরালো হয়ে উঠতো।

প্রশ্ন হলো, এর মাধ্যমে কি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে? সংসদ নির্বাচনের আগে এই নির্বাচন কি বিএনপির জন্য দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার একটি চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে? বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে দুই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে?

এ ব্যাপারে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একেবারেই না, মোটেই না। একটা ক্ষুদ্র অংশের কিছু কিছু সুবিধাভোগী লোকজন আছে, স্থানীয় পর্যায়েও হালুয়া রুটির রাজনীতিকারী আছে। এজন্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের ৯৯ শতাংশ নেতাকর্মী দলের নীতি অনুযায়ী চলছে। তারা দলের সঙ্গেই আছে। 

দলে প্রভাব পড়বে?
বিএনপির নেতারা বলছেন, স্থানীয় নির্বাচনে কঠোর না হলে আরও অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। সেটা ঠেকাতেই বহিষ্কারের মতো ‘কঠোর ব্যবস্থার’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতা মনে করছেন, এখন বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠেকানো না গেলে জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে এবং দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। তখন অনেকে দল থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু বিদ্রোহী হলে যে তাদের আর দলে নেওয়া হবে না, এখন থেকেই সেই কঠোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

খুলনার সাজ্জাদ হোসাইন মনে করেন— এভাবে তৃণমূলের বহিষ্কারের প্রভাব পড়তে পারে আগামী সাধারণ নির্বাচনের ওপরে। অবশ্যই সমস্যা হবে। আমরা যারা তৃণমূলে নির্বাচন করছি, এর চেয়ে তো আর তৃণমূল নেই। আমরা তো শিকড়ে আছি। সাধারণ মানুষের সুখ, দুঃখ-বেদনা, ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক-বিপদে আপদে আমরা কাজ করি। আমাদের মতো মানুষজনকে যদি এখন দল থেকে বহিষ্কার করে, তাহলে অবশ্যই দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তৃণমূলের নেতাদের দাবি— দলের নীতির বাইরে নির্বাচন করলেও তারা আসলে বিএনপির সঙ্গেই আছেন।

বরিশালের বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানও বলছেন, আমাদের দলের সাথে সৌহৃদ্য সম্পর্ক থাকবে। আমরা বহিষ্কার হলেও হতে পারি, কিন্তু আমরা দল ছেড়ে কোথাও যাবো না, অন্য কোথাও যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা আমাদের নেই।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় অনেক নেতাকেই বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে অন্যতম নারায়নগঞ্জে তৈমুর আলম খন্দকার এবং কুমিল্লার মনিরুল হক সাক্কু। তারা এখনো বহিষ্কার অবস্থায় রয়েছেন।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর