কারামুক্ত হওয়ার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছোট কারাগার থেকে বৃহত্তর কারাগারে প্রবেশ করেছি।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
গোটা দেশই এখন কারাগারে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গোটা দেশই এখন কারাগার। বর্তমানে মানুষের কোনো অধিকার নেই। ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। গণতন্ত্রের মুক্তি মিললেই মানুষ সকল অধিকার ফিরে পাবে।
চার মাস ২০ দিন কারাভোগের পর বিকেলে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন বিএনপি নেতা রিজভী। মুক্তির পর রিজভীকে জেল গেটে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান তার সহধর্মিণী আরজুমান আরা বেগমসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ' নেতাকর্মী।
জেল থেকে বের হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রিজভী।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরাফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবির, ইউনির্ভাসিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের রাশেদুল হকসহ পিুল সংখ্যক নেতা-কর্মী কারাগারের সামনে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
জেল থেকে বের হওয়ার সময় রিজভী আটক যুবদল নেতা আব্দুল মুনায়েম মুন্না, এসএম জাহাঙ্গীর, গোলাম মওলা শাহীনসহ বিএনপির সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন। পরে প্রাইভেট গাড়িতে করে সরাসরি বাসার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বাসায় পৌঁছান তিনি। পরে বিপুল নেতাকর্মী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, মীর শরাফত আলী সপু, আসাদুল করিম শাহীন, মীর নেওয়াজ আলী, খন্দকার আবু আশফাক, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম তেনজিং, মেয়র মজিবুর রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এম মঞ্জুরুল করিম রনি, যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ আহমেদ, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎসজীবী দলের আবদুর রহিমসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এমই/এমআর