দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (২৪ এপ্রিল) বঙ্গভবন শপথ নেন তিনি। নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিভিন্ন দল তাদের প্রত্যাশার কথা জানালেও তাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘নতুন রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কিছুই ভাবছি না। আমরা এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলনে রয়েছি। আগে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।’
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ নেওয়ার পর সোমবার (২৪ এপ্রিল) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। কারণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই তো অগণতান্ত্রিক এবং অবৈধ। সংসদে আওয়ামী লীগের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, আর বর্তমান সংসদের সদস্যরাই তাকে ভোট দিয়েছেন। অথচ এই সংসদই তো গণতান্ত্রিক নয়, দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত নয়। সুতরাং এর বেশি বলতে চাই না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রপতি পদে অবশ্যই এমন ব্যক্তির থাকা উচিত, যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ পদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারবেন। যার কাছে সবাই যেতে পারবে, যার সঙ্গে সবাই কথা বলতে পারবে। দলমত নির্বিশেষে সর্বক্ষেত্রে তিনি একটা নিরপেক্ষতা অবলম্বন করবেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে সবার জন্য সমানভাবে কাজ করবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনীত রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে এমন আশা করা যায় না। ফলে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আমরা কিছুই ভাবছি না। আমরা এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলনে রয়েছি। আগে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন করা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপির মুখপাত্র হলেন দলের মহাসচিব। এ বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলে কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে আমাদের মহাসচিব যা বলার বলবেন।’
বিজ্ঞাপন
সকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর শপথ পড়ানোর মধ্য দিয়ে তিনি আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। শপথের পর আবদুল হামিদ চলে যান তার নিকুঞ্জের বাসায়। আর বঙ্গভবনে বসবাস শুরু করবেন মো. সাহাবুদ্দিন।
এমই/এমআর