শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ঈদে তৃণমূলের পাশে থাকতে নেতাকর্মীদের বিএনপি হাইকমান্ডের নির্দেশ

মো. ইলিয়াস
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:০৭ পিএম

শেয়ার করুন:

ঈদে তৃণমূলের পাশে থাকতে নেতাকর্মীদের বিএনপি হাইকমান্ডের নির্দেশ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যোগাযোগ বাড়াতে নেতাদের নির্দেশ দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। অনেকেই ইতিমধ্যে তাদের নির্বাচনী এলাকায় চলে গেছেন। আবার অনেকে ঢাকাতে ঈদের নামাজ আদায় করে সুবিধা অনুযায়ী নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে চায় বিএনপি। 

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশেষ করে গত ১৪ বছরে রাজনৈতিক মামলা, হামলা নির্যাতন ও গুম-নিখোঁজ হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


রমজানের মধ্যে গ্রেফতার নেতাদের বাসায় ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মামলা, হামলা, নির্যাতন ও গুম-খুনের শিকার পরিবারগুলোকে ঈদ সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা করেছে বিএনপি। বিএনপি নেতারা তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গেও কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বাদশ নির্বাচনের আগে আর মাত্র একটি ঈদ রয়েছে। সেটি কুরবানির ঈদ। তাই এবারের ঈদকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিয়েছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তারা ঈদ উপহার বিতরণের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ে ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে গণসংযোগ করছেন, চা-চক্রসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মতো মাঠের বিরোধী দল বিএনপি নেতারাও পিছিয়ে ছিলেন না। নির্বাচন সামনে রেখে তারা ছুটেছেন নির্বাচনী এলাকায়। ইফতার, দোয়া মাহফিল ও ঈদ উপহার বিতরণসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন অনেকে। 

রাজনৈতিক সমঝোতা না হওয়া বা নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রচারণা থেমে নেই। হামলা-মামলা উপেক্ষা করে নানা কৌশলে নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে প্রচারণা চালাচ্ছেন অনেকে। 


বিজ্ঞাপন


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের পর বৃহৎ আকারে যুগপৎ আন্দোলনের পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। ঈদ শুভেচ্ছার মাধ্যমে সেই বার্তা পৌঁছে দেবেন নেতারা। বিশেষ করে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্কের টানাপড়েন কাটিয়ে উঠতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছে হাইকমান্ড। বরাবরই কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের সম্পর্কের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অনেক কেন্দ্রীয় নেতা তৃণমূলের সঙ্গে সমন্বয় করেন না। সম্পর্কের ঘাটতির কথা তারাই হাইকমান্ডকে জানিয়েছেন আনুষ্ঠানিক বৈঠকে। 

তৃণমূলের সাথে নেতাকর্মীদের ঈদ করার নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঢাকা মেইলকে বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে যখন সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকেন তখন দুই ধরনের আনন্দ হয়। একটি হচ্ছে ঈদের আনন্দ, অপরটি হচ্ছে নেতার আনন্দ। এর মাধ্যমে তৃণমূলে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। কাছাকাছি থাকা এবং তৃণমূল পর্যায়ে যাওয়া একটা দলকে সুসংগঠিত করে, চাঙ্গা করে। এর মাঝে কোনো শঙ্কা থাকলেও তা কাটিয়ে সামনে এগোতে হবে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঢাকা মেইলকে বলেন, ঈদ ঘিরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সেতুবন্ধ তৈরি হবে। যারা যোগ্য এবং দক্ষ তাদেরকেই হাইকমান্ড মূল্যায়ন করবে। তারা নবীন-প্রবীণ যাই হোন। 

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগ। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। আমরা রাজপথে আছি। সরকারের পতন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। 

এমই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর