বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ঢাকা

‘গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

‘গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে’

সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, গুম ও খুনের কথা যাতে মানুষ জানতে না পারে সেজন্য গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদে নেতারা।

তারা বলেন, মানবাধিকার আজ ভুলুণ্ঠিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নাগরিকরা জীবন হারাচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশকে মনুষ্য বসবাসে অযোগ্য করে ফেলেছে শাসকগোষ্ঠী। গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। মানবতা আজ লাঞ্ছিত। এ অবস্থায় বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে-এ মুহূর্তে এটাই আমাদের সকলের ভাবনা। 


বিজ্ঞাপন


শনিবার (০১ এপ্রিল) সিলেটে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে পেশাজীবী নেতারা এসব  কথা বলেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এ দেশকে স্বাধীন করার জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতার ৫২ বছর পূর্তিতে জাতির প্রত্যাশা ছিল আমরা আমাদের সব অর্জন দেশে বিদেশে প্রতিফলিত করব, দেশে বিদেশে সমাদৃত হব। কিন্তু আজকে দুঃখের বিষয় আমরা যখন স্বাধীনতার ৫২ বছর পালন করছি, তখন বাংলাদেশ একটি অগণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হলো।

তিনি বলেন, মানবাধিকার লংঘনের জন্য বাংলাদেশের একটি সংস্থা আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত হলো, ওই সংস্থার কিছু  কর্মকর্তা যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন পদে আছেন, তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো, এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।

ডা. জাহিদ বলেন, আপনারা জানেন দেশ একটা গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছে। বিশ্ব জরিপের মূল্যায়ন হচ্ছে বাংলাদেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং সেখানে এখন গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড পর্যন্ত মানা হচ্ছে না। সম্প্রতি আমেরিকায় যে গণতান্ত্রিক সম্মেলন হয় ওই সম্মেলনে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পর্যন্ত পায়নি। কেননা তারা বাংলাদেশকে মনে করে এটা গণতান্ত্রিক দেশ নয়।


বিজ্ঞাপন


সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সরকার দেশে নিকৃষ্টতম ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। কথায় কথায় মানুষ হত্যা, গুম এখন নিত্যকার ঘটনা। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। সাংবাদিক নির্যাতন অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। 

সাংবাদিকদের এই নেতা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা ততই বাড়ছে। বিরোধীদের মোকাবিলায় রাজনৈতিক কৌশলের দিক থেকে তারা এক ধরনের আত্মঘাতী পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করছে। তাই ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও মর্যাদা রক্ষায় আন্দোলন জোরদার করতে হবে।

সিলেট বিএসপিপির সভাপতি প্রফেসর ডা. শামীমুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রফেসর ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন— সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মো. মোজাম্মেল হক, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. আতোয়ার রহমান, প্রফেসর শাহ মুহাম্মদ আতিকুল হক প্রমুখ। 

এমই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর