বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ছাত্রলীগের অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও চান কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩৭ পিএম

শেয়ার করুন:

ছাত্রলীগের অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও চান কাদের

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আশা করে ছাত্রলীগের কমিটি করেছেন। দলীয় সভাপতি হতাশ হন এমন কাজ থেকে এই কমিটিকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২২ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


ওবায়দুল কাদের বলেন, 'তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অভিমুখে। নেত্রী অনেক আশা করে, বাছ-বিচার করে ছাত্রলীগের কমিটিগুলো করেছেন। তোমরা (ছাত্রলীগ) তাকে হতাশ করো না।'

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'ছাত্রলীগের অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে শুধু সাংগঠনিক না, প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নিতে হবে। খারাপ ছেলে-মেয়েদের আমাদের কোনো দরকার নেই। যারা খারাপ, সংশোধিত না হলে তাদের বের করে দাও। যাদের নামে বদনাম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য ও মাদকের মানসিকতা যাদের, তাদের পরিহার করতে হবে।'

কাদের বলেন, 'অপকর্মের সাথে জড়িত কাউকে নেতা বানানো যাবে না। এদের বিরুদ্ধে শুধু সাংগঠনিক না প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ছাত্রলীগের কাছে আমরা অনেক আশা করি। আমরা মনে করি এই কমিটি কিছু করবে। আমাদের হতাশ করো না।'

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, '১৯৭০ সালে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার লাভ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতারা চেয়েছিলেন একজন সামরিক কর্মকর্তা ঘোষণা দিলে বাঙালি উজ্জীবিত হবে। কাজেই তাকে খুঁজে এনে চট্টগ্রাম কালুরঘাটে ঘোষণা দিতে বলা হয়।'


বিজ্ঞাপন


QQQ

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ইতিহাস মুছে দেওয়ার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশুপার্ক বানিয়েছিল। ৭ মার্চ, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ও টুঙ্গিপাড়া নিষিদ্ধ করেছিল। গণতন্ত্রকে তোমরা (বিএনপি) হত্যা করেছো, সমাহিত করেছো। বিএনপির আন্দোলন এখন চোরাবালিতে আটকে গেছে।'

কাদের বলেন, 'পিতাকে দিয়ে স্বাধীনতা, কন্যাকে দিয়ে মুক্তি। শেখ হাসিনা আজ মুক্তির সংগ্রামের কান্ডারি। দশ দফা ভুয়া, সাতাশ দফা ভুয়া, বিক্ষোভ মিছিল ভুয়া আর নেতাও ভুয়া। আমরা পালিয়েছি? তোমার (বিএনপি) নেতা ফখরুলই মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছেন। বিএনপি ধ্বংস করেছে, শেখ হাসিনা মেরামত করেন।'

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'জাতির পিতা আমাদের প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি এমন রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন যা উদার এবং গণতান্ত্রিক। আধুনিক গণতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা যেন বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি এই আশা ব্যক্ত করছি।'

প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বিশেষ আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

কারই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর