বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

‘নতুন পাঠ্যপুস্তক পড়ে শিশুরা ইসলামবিদ্বেষ ও ধর্মহীনতা শিখবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৪ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

নতুন পাঠ্যপুস্তকগুলো পড়ে শিশুরা ভালো মানসিকতা শেখার বদলে ইসলামবিদ্বেষ ও ধর্মহীন জীবন যাপন শিখবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)। তিনি বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকে মুসলিম ইতিহাস ও স্বাধীনতা আন্দোলনের বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। শিশুদের মনে বিকৃত মানসিকতা গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। বইয়ে ভিনদেশি সংস্কৃতি ও মূর্তি, প্যাগোডা, মন্দির ইত্যাদির ছবি দিয়ে ভরপুর করে রাখা হয়েছে। শিশুরা এসব বই পড়ে ভালো মানসিকতা শেখার বদলে শিখবে ইসলামবিদ্বেষ, ধর্মহীন জীবন যাপন। এতে মুসলিম প্রধান এদেশের সন্তানেরা দেশ প্রেমিক হবে না বরং স্বজাতির প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর মনোভাব তৈরি হবে।

শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তার কথায় লাগাম নেই। জ্ঞানমূলক কথা তার মুখ থেকে আসে না। এর আগে তিনি বলেছেন বইয়ে কোনো ভুল নেই। এখন বলছে ভুল আছে। বারবার তার কথায় মিথ্যা প্রমাণিত। 


বিজ্ঞাপন


চরমোনাই পীর আরও বলেন, যে দেশে শিক্ষামন্ত্রীর এই অবস্থা, সে দেশের মানুষ ধ্বংসের পথেই যাবে এটাই তো বাস্তবতা। ধিক্কার জানাই যারা বর্তমান এই সিলেবাস তৈরি এবং বাস্তবায়নে কাজ করেছেন। এর প্রতিবাদ আমাদের জানাতে হবে। পরিবর্তন করে ধর্মীয় ইসলামী শিক্ষা সর্বত্র বাস্তবায়ন করতেই হবে।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত নগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বইয়ের মধ্যে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির ছবি দেওয়ার কথা। যেমন কভার পেইজগুলোতে আমাদের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও টানেলের ছবি দিয়ে স্বজাতির প্রতি আরও আগ্রহী করার কথা ছিল। যাতে সাধারণ মানুষের দেশের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। তা না করে শিশুদের বাদরামী শিখানোর কৌশল করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে দেশে আজানের শব্দে বাচ্চাদের ঘুম ভাঙে এবং যে দেশে জুম্মার দিনে মসজিদে জায়গা হয় না। সেই দেশে কোথা থেকে বানর জাত এসে আজকে মুসলমানদের ঈমান ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। আমরা প্রতিবাদ না করে বসে বসে তা দেখবো- এটা হতে পারে না।

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা নেই। ন্যায়ের পথে কথা বলার কোন অবস্থা নেই। আমরা আজ নিষ্পেষিত। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেভাবে লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। মানুষ না খেয়ে অর্ধাহারে দিন যাপন করছে। এটা সহ্য করা যায় না। তিনি বলেন, দেশে কিছু মধ্যস্বত্ত্বভোগী, কিছু দুষ্টু প্রকৃতির ব্যবসায়ীর কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এটা সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাহলে বুঝতে হবে সরকারের দায়িত্বশীল জায়গায় দুর্নীতিবাজরা বসে থাকার কারণেই তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এই পরিস্থিতি সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তরের ২০২১-২০২২ সেশনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ২০২৩-২০২৪ এর নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। এতে সভাপতি হিসেবে অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহ-সভাপতি হিসেবে আনোয়ার হোসেন ও সেক্রেটারি হিসেবে মাওলানা আরিফুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেন এবং তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

টিএই/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর