সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ফেসবুকে কে বেশি জনপ্রিয়, হিরো আলম নাকি বিএনপি?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

ফেসবুকে কে বেশি জনপ্রিয়, হিরো আলম নাকি বিএনপি?

বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার অন্যতম মাপকাঠি হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আর বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি বড় জায়গা দখল করে রেখেছে ফেসবুক। দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ধরা হয় ফেসবুককে। সামাজিক সংগঠন থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান- কেউই বাদ যাচ্ছে না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান ‘মেটা’র পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ একবারের জন্য হলেও ফেসবুকে প্রবেশ করেছে। এই সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহার করেছে ভারত, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশ- এই তিন দেশের মানুষ। অর্থাৎ বাংলাদেশ ফেসবুকের জনপ্রিয়তা কত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


বিজ্ঞাপন


Facebookসেই ফেসবুকের হাত ধরেই দেশের এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচনায় থাকা বিষয় ‘হিরো আলম’। ভিডিও দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছিলেন ডিশ ব্যবসায়ী আসরাফুল হোসেন আলম। যিনি নিজেই নিজের নামকরণ করেছেন ‘হিরো আলম’।

ফেসবুক ও ইউটিউবে নিজের অভিনীত ভিডিও প্রকাশ করে এক শ্রেণীর দর্শকের কাছে আলোচনায় আসেন তিনি। শুরু করেন গান করা।

সেখান থেকে নেমে পড়েন রাজনীতির মাঠে। সম্প্রতি বিএনপির ছেড়ে দেওয়া পাঁচ সংসদীয় আসনের মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তিনি।

Hero Alomএরপরই দেশের দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দল তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু করে। মূলত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে হিরো আলমের নাম সামনে আনেন।


বিজ্ঞাপন


গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে পরাজিত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন ব্যক্তিকে জেতাতে নিজেদের প্রার্থীকে গুম করা হয়েছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিস্থিতি।

মির্জা ফখরুলের বক্তব্য দেওয়ার দুই ঘণ্টা পরই তার জবাব দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠল তার (ফখরুল)। তিনি ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে। কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে।

BNPওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যে পর নিজ ফেসবুক পেইজে লাইভে আসেন হিরো আলম। তিনি নিজেকে ‘জনপ্রিয়’ দাবি করেন। নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন, সেটিও মানতে নারাজ তিনি।

পরে অবশ্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হিরো আলমকে নিয়ে নয়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাব দিয়েছি।

এসবের মধ্য দিয়ে ফের দেশব্যাপী তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলোয়ারের সংখ্যা হিসাব করতে গিয়ে দেখা যায়, ফেসবুকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির তুলনায় হিরো আলমের ফলোয়ার বা অনুসারীর সংখ্যা বেশি।

ফেসবুক বলছে, হিরো আলমের ফলোয়ার বা অনুসারী সংখ্যা দুই মিলিয়ন (২০ লাখ)। অপরদিকে বিএনপির ফেসবুক পেইজে ফলোয়ার সংখ্যা এক দশমিক ৭ মিলিয়ন বা ১৭ লাখ। অর্থাৎ বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের তুলনায় হিরো আলমের ব্যক্তিগত পেইজের ফলোয়ার সংখ্যা তিন লাখ বেশি।

এদিকে ফেসবুকে আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পেইজে দেখা গেছে, সংগঠনটির ফলোয়ার সংখ্যা ৩২ লাখের বেশি।

কারই/জেএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর