জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সামনে সমমাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো।
কর্মসূচি পালন শেষ হলে আবারও নতুন করে কর্মসূচি দেওয়া হয় দলগুলোর পক্ষ থেকে। বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও কর্মসূচি পালন করা হয়। বিএনপির আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে আওয়ামী লীগ ‘উস্কানিমূলক পাল্টা’ কর্মসূচি দেয় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও ক্ষমতাসীদের পক্ষ থেকে তার অস্বীকার করা হয়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় বিএনপি যেন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারেন সেজন্য তারা রাজপথে থাকেন।
রোববার সচিবালয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবে।
বিএনপি আন্দোলনের টার্গেট ফেল করেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে সরকার পতনের টার্গেট নিয়ে নেমেছিল। কতকিছু দেখলাম, লাল কার্ড, গণঅভ্যুত্থান। ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ, এরপর ১১ জানুয়ারি, সবশেষে আমরা ৪ ফেব্রুয়ারিও দেখলাম।
বিজ্ঞাপন
সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) যে টার্গেট নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতন। গণঅভ্যুত্থানে জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া গণবিস্ফোরণ কী করে হয়, যেখানে জনগণই নেই। যে আন্দোলন সেটা তাদের নেতাকর্মীদের আন্দোলন। তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা হয়নি বলে তারা পথ হারিয়ে নীরব পদযাত্রায় নেমে এসেছে।
সরকারের উন্নয়নে বিএনপির আন্দোলন তলিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশে আন্দোলনে হেরে গেলে নির্বাচনে তাদের জেতার সম্ভাবনা থাকে না। আমাদের দেশে যে দল আন্দোলনে বিজয়ী হয়, নির্বাচনেও তারা বিজয়ী হয়। এখন আন্দোলনে তাদের পরাজয় ঘটেছে, আমি বলতে পারি। কাজেই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা এখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায়, যাতে অনির্বাচিত সরকার আসে। আরেকটা ওয়ান-ইলেভেন আসে।
এমআর
