‘লুটপাটের দায় জনসাধারণের কাঁধে চাপাচ্ছে সরকার’

ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তাদের লুটপাটের সব দায় জনসাধারণের কাঁধে চাপিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, ‘গণবিরোধী সরকার আর অবৈধ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে বাজারে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার মহোৎসব চলছে। বিনা ভোটের সরকার দেশের মানুষকে ভাতে মারতে চলেছে।’

কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত সারা দেশে বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিবি নেতারা এসব কথা বলেন। গ্যাস-বিদ্যুৎ, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং জাতীয় সম্পদ রক্ষা, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার, সারা দেশে রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর দাবি এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় তারা দেশবাসীকে লুটপাটতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ‘সর্বব্যাপী লুটপাটের ধাক্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক আগেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর, মজুদদারদের স্বার্থের ‘পাহারাদার’ হিসেবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি সরকার কোনো দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে না।’

বক্তারা বলেন, ‘শাসকদল মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে নয়া উদারনীতিবাদ ও মুক্তবাজার দর্শনের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে। সরকারের বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের অভাবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট রমজান মাস সামনে রেখে দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে।’

সমাবেশ থেকে নেতারা চলমান লুটপাটতন্ত্র ও দুঃশাসনের অবসান ঘটানোর লড়াইয়ে দেশের সব বিবেকবান মানুষকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান। গণপ্রতিরোধকে গণঅভ্যুত্থানে রূপান্তরের মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক দুঃশাসন অবসানের সংগ্রাম বেগবান করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সমাবেশ থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানো, শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু, টিসিবির কার্যক্রম জোরদার করা, ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু, ‘বাফার স্টক’ গড়ে তোলা, অবৈধ ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, লুটেরা-মজুদদার-মুনাফাখোর-মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হয়।