বিএনপির গণসমাবেশের বিপরিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এদিন সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাহস এবং শক্তি যোগাতে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। আওয়ামী নেতা-কর্মীদের ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত পুরো বঙ্গবন্ধু এভিনিউ।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় কার্যালয়ে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, আমরা সহিংসতায় বিশ্বাস করি না, আমরা স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করি। যে অশুভ শক্তি সহিংসতা ছড়াতে চায় তারাই চার দিন আগে রাস্তা দখল করে বসে ছিল। তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে ভিন্ন পথে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করবে। তাদের সেই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত কখনোই টিকবে না।
যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে, বোমাবাজি-অগ্নিসন্ত্রাস করলে সমুচিত জবাব দিতে যুবলীগ প্রস্তুত রয়েছে। এটা শেখ পরশের নির্দেশ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ঢাকা মেইলকে বলেন, আজকে বিএনপি-জামায়াতের যেকোনো অপতৎপরতা রুখতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও বদ্ধ পরিকর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে এগিয়ে চলা তা যেন কোনো অপশক্তির ভয়াল থাবায় থমকে না যায় সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক অবস্থান থাকবে।
এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে স্লোগানে যোগ দিতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও।
বিজ্ঞাপন
কারই/এইউ
