শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

শান্তি চায় না বলেই বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা করছে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৫৮ পিএম

শেয়ার করুন:

শান্তি চায় না বলেই বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা করছে: তথ্যমন্ত্রী

শান্তি চায় না বলেই বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে গতকাল নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে যে সংঘর্ষ হয়েছে তার জন্য দায় বিএনপির বলে মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তারা (বিএনপি) বুধবার থেকেই জমায়েত শুরু করে। সে ধারাবাহিকতায় পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। তাই পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।’


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা (বিএনপি) মহাসমাবেশ ডেকেছে ১০ ডিসেম্বর। বুধবার ছিল ৭ ডিসেম্বর। তারা কাল থেকেই রাস্তায় জমায়েত শুরু করে। রাস্তা ছাড়তে তাদের বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও উপেক্ষা করা হয়। পরে রাস্তার একটি লেন ছেড়ে দিতে তাদের বারবার অনুরোধ করা হ। ডিসি হায়াত কথা বলতে গেলে তাকে আঘাত করা হয়। তার বডিগার্ডকে দা দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। এখান থেকেই শুরু।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ৩৫ সদস্য আহত হয়েছেন। ৮ জন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ ঢুকলে ১৫টি ককটেল পায়। তাদের বারবার বলা হয়েছে, জনসমাবেশ করতে মাঠ ব্যবহার করতে। সারাদেশে মাঠ ব্যবহার করে তারা সমাবেশ করেছে, যাতে সরকার সার্বিক সহায়তা করেছে। পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। নিজেরা নিজেরা মারামারি করা ছাড়া সেখানে অন্য কিছু ঘটেনি। কিন্তু সেই অনুরোধ রাখেনি।


বিজ্ঞাপন


হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা সবসময় বলে আসছে ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটাবে। বড় সমাবেশ করতেই তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যখন সেখানে তারা যেতে অনীহা প্রকাশ করে, তখন মিরপুর পল্লবীর মাঠ, কালশি মাঠ, ইজতেমা ও বাণিজ্যমেলার মেলার মাঠ ব্যবহার করতে বলা হয়। কিন্তু তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। তারা সত্যিকার অর্থে দেশে গণ্ডগোল পাকাতে চেয়েছে। নয়াপল্টনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি নাটক করেছেন। এতদিন তিনি হুঙ্কার দিচ্ছিলেন, কিন্তু তিনি যখন নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন, তখন আশপাশে কেউ ছিল না। তাদের নেতাকর্মী কেউ ছিল না, সাংবাদিকরা ছাড়া।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি সেখানে অনেকগুলো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে একজন সাধারণ নাগরিক মারা গেছেন। সেটির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আজ পাওয়া যাবে। পুলিশ ধারণা করেছে, ওই ব্যক্তি ককটেল বিস্ফোরণে মারা গেছেন। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেলেই এ বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যাবে। এভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা ও আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি।

হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী সাহেব গতকাল সেখানে মামলার পরোয়ানা নিয়ে নয়াপল্টনে গেছেন। আরও বেশ কয়েকজন গেছেন, তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল। পুলিশের নাকের ডগায় যখন পরোয়ানাভুক্ত আসামি ঘুরে বেড়ায়, তখন তাদের গ্রেফতার করা পুলিশের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। কোনো নেতা যখন ককটেল নিয়ে কার্যালয়ের ভেতরে বসে থাকেন তখন তার বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হয়। সরকার সেই ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবেই বিএনপি গতকালের ঘটনা ঘটিয়েছে। আগে থেকেই তারা উসকানি দিয়ে আসছে। গতকালের সব ঘটনার জন্য বিএনপি ও তাদের নেতারা দায়ী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে বিএনপিকে কখনো বাধা দেয়নি। তারা দেশে সফলভাবেই শান্তিপূর্ণভাবে ৯টি সমাবেশ করেছে। সরকার তাতে সহায়তা করেছে। আওয়ামী লীগকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সংযত আচরণ করতে, যাতে বিএনপির উস্কানির মুখেও ধৈর্য ধরে। কিন্তু তারা (বিএনপি) আসলে দেশে শান্তি চায় না। যে কারণে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না।

ডব্লিউএইচ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর