আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যে বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়ার সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টায় এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় হোটেল লেকশোরের বিশেষ সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ওই সংবাদ সম্মেলনের দিনক্ষণ পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না বলে জানিয়েছে। তৃতীয় কোনো ভেন্যুর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠের কথাও আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যেই বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। দুপুরের দিকে সেখানে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওই সময় নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে রায়টকার দিয়ে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আরও জোরালো হয়। এতে পুরো এলাকা যেন রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এ সময় স্লোগান দিয়ে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে নয়াপল্টন থেকে ফকিরাপুল মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা। সেই সঙ্গে কার্যালয়ের মধ্যে আটকা পড়েন রুহুল কবির রিজভীসহ আরও অনেক নেতাকর্মী। এসময় নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার বিকেলের ওই সংঘর্ষের পর নয়াপল্টন কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে একে একে অবরুদ্ধ নেতাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ বিএনপির। দলটির পক্ষ থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বুধবার গভীর রাতেও নয়াপল্টনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে।
/এএস