শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

চুরি নয়, জনগণ আমাদের স্বতস্ফূর্ত ভোট দেয়: শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০২:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

চুরি নয়, জনগণ আমাদের স্বতস্ফূর্ত ভোট দেয়: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ কখনও ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যায়নি, জনগণের স্বতস্ফূর্ত ভোটে প্রতি বার ক্ষমতায় গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে বলেও দাবি করেন সরকারপ্রধান।  

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে ভোট চুরির মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। আমরা ভোট চুরি করতে যাব কেন? জনগণ আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দেয়।’

আরও পড়ুন: ছাত্রদের হাতে অস্ত্র দিয়েছিল খালেদা, আমি দিয়েছি খাতা-কলম

এ সময় গত নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি জিতবে কীভাবে? ২০১৮ সালের নির্বাচন, এক সিটে যদি তিনজনকে নমিনেশন দেয়! একদিকে ফখরুল একজনকে দেয়, রিজভী একজনকে দেয়, আর লন্ডন থেকে তারেক দেয় আরেকজনকে। যে যত টাকা পায়! সেখানে হলো টাকার খেলা। তারপর নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে বলে আমাদের ইলেকশন করতে দিল না।’

hasina2


বিজ্ঞাপন


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির দুইজন নেতা আমার কাছে এসে নালিশ করে গেছেন। সিলেটের এনাম চৌধুরী আমার কাছে এসে বলে গেছেন, তারেক রহমান আমার কাছে টাকা চেয়েছে। টাকা দিতে পারি নাই। তাই আমার নমিনেশন বাতিল করে যার কাছ থেকে টাকা পেয়েছে তাকে দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মোরশেদ খান, তিনি নিজে বলেছেন, তার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি টাকা দিতে পারব না। তাহলে আপনার নমিনেশন ক্যান্সেল। এই হলো তাদের ২০১৮ নির্বাচন। যে টাকা দেবে, সেই প্রার্থী। যে দলের এই অবস্থা এরা গণতন্ত্র উদ্ধার করবে!’

আরও পড়ুন: যে কারণে ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি আওয়ামী লীগের থেকে রাজনীতি শিখেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি কিছু রাজনীতি শিখেছে আমাদের সঙ্গে কিছু আন্দোলন করে। এরশাদবিরোধী আন্দোলন করে।’

বিএনপির শাসনামলে দেশের শিক্ষার হার কমে গিয়েছিল। বর্তমানে দেশের শিক্ষার হার ৭৫ শতাংশ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ সামনের দিকে আগায়। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ পেছনের দিকে যায়। কথায় বলে না, ভূতের পা পেছন দিকে!’

hasina1

বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের ‘বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীজীবী’ বলে আখ্যা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের বুদ্ধিজীবী, তারা আসলে বুদ্ধিজীবী না, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীজীবী। তারা একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাকে নেতা মেনে ২১ আগস্ট গ্রেনেন্ড হামলাকারী, মানিলন্ডারিংকারী, অর্থ চোরাকারবারী তাদের সাথে জড়ো হয় সরকার উৎখাতের জন্য।’

ব্যাংকে টাকার অভাব নেই জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘প্রত্যেক ব্যাংকেই টাকা আছে৷ গুজবে কান দেবেন না। মিথা কথা বলে মানুষকে ভাওয়াবাজি দিচ্ছে। এটার দিকে সকলের বিশেষ নজর দিতে হবে।’

আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন যারা

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অপরাধ কী? আওয়ামী লীগ দুই তৃতীয়াংশ মেজরিটি পেয়ে সরকার গঠন করে। সরকার গঠন করেই আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ শুরু করে। বাংলাদেশ আজকে আর সেই দুর্দশাগ্রস্ত বাংলাদেশ না।’

hasina3

বিএনপি যে গণতন্ত্রের কথা বলে, সেটা গণতন্ত্র না। সেটি 'ক্যান্টমেন্টে বন্দি কাউফিউতন্ত্র' উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞেস করতে পারেন, সেটা ছিল কারফিউতন্ত্র, গণতন্ত্র না।’

সম্মেলনে বিএনপির শাসনামলের নানা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ফিরিস্তি তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া তার ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আমি তুলে দিয়েছিলাম খাতা-কলম। আমি ছাত্রলীগকে বলেছিলাম, তোমরা যখন ছুটিতে যাবে, তখন নিরক্ষর মানুষকে শিক্ষা দেবে। ছাত্রলীগ সেটা করেছিল এবং আমাদের রিপোর্টও দিয়েছিল।’

কারই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর