সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কোনো বাধাই বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে পারবে না: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

কোনো বাধাই বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে পারবে না: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হামলা-মামলা-গ্রেফতার করে জনগণের আন্দোলনকে দমানো যাবে না। দেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র ফেরাতে বিএনপিসহ গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। যেকোনো ত্যাগের বিনিময়ে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছে তৃণমূল। কোনো বাধাই বিএনপি’র কর্মসূচি ঠেকাতে পারবে না।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


রিজভী বলেন, এখন গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও বাংলাদেশে নেই। মানুষের ভোটের অধিকার নেই, নেই কথা বলার অধিকার। বিচার বিভাগ এবং প্রশাসন চলছে এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। দেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের প্রতিযোগিতা এখন সীমাহীন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কুইক রেন্টাল, পর্দা ও বালিশের নামে দুর্নীতির নতুন নতুন মহাকাব্যের কথা না হয় বাদই রাখলাম। ফরিদপুরের জেলা পর্যায়ের ছাত্রলীগের এক নেতার ২০০০ কোটি টাকা পাচারের কথা কি শেখ হাসিনা জানতেন না? এটা তো ছোট্ট একটি ঘটনা, এর চেয়েও অনেক বড় দুর্নীতির মহাযজ্ঞ চলছে এই সরকারের আমলে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকার শেষ সময়ে এসে চরম মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। একদিকে চলছে গায়েবি এবং মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের হিড়িক, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের গোয়েবলসীয় মিথ্যাচারকেও হার মানিয়েছে।

রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আজ বলেছেন-বিএনপি’র সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে। আমি কাদের সাহেবকে পরিষ্কার করে বলতে চাই-আপনারা গণবিচ্ছিন্ন, তাই মানুষের উপস্থিতি দেখলেই ভয় পান। সেজন্য মিথ্যার বুলি কপচিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার শেষ চেষ্টা করছেন। আওয়ামী নেতাদের মিথ্যা কথা চেঁচানোর রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তুপের ওপর বসে অপপ্রচার করা ছাড়া আপনাদের গত্যন্তর নেই। বিএনপি’র সবগুলো সমাবেশে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি লাখ লাখ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ দেখে আপনাদের অবৈধ মসনদ কেঁপে উঠেছে। এ মূহুর্তে দেশের মানুষের দাবি একটাই-এই সরকারের পদত্যাগ। জনসভা আয়োজনের নামে ভোট চাওয়া আওয়ামী লীগের যে কৌশল তা স্রেফ নাটক।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হয়নি। জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পারে সেজন্যই তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নানাবিধ সুবিধা দিয়েছিল এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে মাঠশুন্য করা হয়েছিল।


বিজ্ঞাপন


৩০ নভেম্বর রাত থেকে ৫ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত রাজধানীতে ১৩১৫ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।

দেশব্যাপী গ্রেফতার ও দায়ের করা মামলাকে মিথ্যা দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মীর শরাফত আলী সপু, নাজিমুদ্দিন আলম, শিরীন সুলতানা, বিলকিস জাহান, সেলিমুজ্জামান সেলিম ও আব্দুল কাদের ভূয়া জুয়েল প্রমুখ।

এমই/এমআর 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর