রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

সমাবেশ বানচাল করতেই নয়াপল্টনে ককটেল বিস্ফোরণ: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

সমাবেশ বানচাল করতেই নয়াপল্টনে ককটেল বিস্ফোরণ: রিজভী

নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ধ্যার পর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গণসমাবেশকে বানচাল করতেই সন্ধ্যায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে যতই নীল নকশা করা হোক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে নয়াপল্টনের গণসমাবেশকে সাফল্যমণ্ডিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘আজ মাগরিবের পরপরই নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুস্কৃতিকারীরা। এটি আওয়ামী সরকারের নির্দেশিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর যৌথ প্রযোজনা। ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিতব্য গণসমাবেশকে বানচাল করার জন্য পুলিশের একটা মাস্টারপ্ল্যান।’


বিজ্ঞাপন


রিজভী বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন-নয়াপল্টনে যারা জমায়েত করবে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে। সুতরাং এই গ্রেফতারের প্রেক্ষাপট তৈরি করার জন্যই এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে এবং কয়েক দিন ধরে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ ও আগুন সন্ত্রাসের সূত্রপাত করা হয়েছে। আওয়ামী সরকার টিকে থাকার জন্য মরণ কামড় দিতে চাচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী মানুষের মনের কথা উপলব্ধি করতে পারছে না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পুলিশের আইজি বলেছেন বিএনপিকে যেখানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে। অর্থাৎ পুলিশ প্রধান আওয়ামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই কথাবার্তা বলছেন। তিনি কোনো ন্যায়নীতি পরোয়া করছেন না। নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী দুঃশাসনের সেবক হিসেবে তিনি কাজ করছেন। সেজন্য নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে পরিকল্পিত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গণগ্রেফতারের অভিযান চালানো হচ্ছে।’

আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

রিজভী বলেন, ‘বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচিকে পণ্ড করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যে দমননীতি প্রয়োগ করে যাচ্ছে তাতে তারা দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে প্রবঞ্চনা ও কপটতার আশ্রয় নিয়ে একের পর এক অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে যাচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করে তার দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করা যায় না। প্রতিনিয়ত আগুন সন্ত্রাসের জারিজুরি ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা যে সরকারি গোয়েন্দা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল সেটি ক্রমান্বয়ে উন্মোচিত হচ্ছে।’


বিজ্ঞাপন


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এ পর্যন্ত গত তিন দিনে ৫৩৬, আজ দুপুর পর্যন্ত ২৪০, দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত তিন দিনে ৭৮৩ জনের অধিক দেশব্যাপী গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’

এমই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর