১০ ডিসেম্বর পালানোর পথ পাবে না বিএনপি: কামরুল

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, 'গত তিন বছরে একটি জনসমাবেশের আয়োজন করতে পারনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।'

আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, 'আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি বছর একটি করে জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে। গত তিন বছরেও সেটা কিন্তু হয়নি।'

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, '৯ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের জনসভায় পাঁচ লাখ মানুষের জমায়েত ঘটাতে পারলে পরের দিন বিএনপির জনসভা ভণ্ডুল হয়ে যাবে।'

মির্জা আজম বলেন, 'বিএনপি-জামায়াতের নেতারা বক্তৃতা দিচ্ছে আগামী ১০ ডিসেম্বর নাকি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। তারা আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে টান দিয়েছে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ১৪ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে দেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। বিএনপি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ১৪টি গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। যে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মম হত্যা করেছে, সেই খুনির দল বিএনপি আজকে আবার ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য, ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে।'

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'বিএনপির নেতারা কয়েক দিন ধরে আগাম জানান দিচ্ছে, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নাকি দেশ পরিচালিত হবে। তারেক রহমান নাকি ১১ তারিখ দেশে পত্যাবর্তন করবে, আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে টান দিয়েছে, সেই অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনকে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ৯ তারিখের জনসভা সফল করতে হবে।'

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি রুহুল আমিন ও হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুনন্নবী সাগর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূইয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ।

কারই/জেবি