শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিএনপির সুবিধার কথা ভেবেই সোহরাওয়ার্দী বরাদ্দ: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০৪:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

বিএনপির সুবিধার কথা ভেবেই সোহরাওয়ার্দী বরাদ্দ: তথ্যমন্ত্রী

সমাবেশ করার সুবিধার কথা ভেবেই সরকার বিএনপির জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রী বলেন, সৎ উদ্দেশ্যে সমাবেশ করার জন্য বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দলের প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে দুই মাস ধরে সারাদেশে বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে আটটি বিভাগে সমাবেশ শেষ করেছে দলটি। এরই অংশ হিসেবে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

পূর্ব নির্ধারিত এই কর্মসূচি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে করার বিষয়ে অনড় অবস্থানে আছে দলটি। কিন্তু সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ঢাকার পাশে পূর্বাচল, কখনো মিরপুরের কালশীতে সমাবেশ করতে দেওয়ার কথা বলেছেন। এর মধ্যে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য সরকার অনুমতি দেবে। দ্রুতই বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বিএনপি অনুমতি না পেলেও নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

বিএনপির এমন অনড় অবস্থানের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার পরও বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।

বিএনপি ও সরকারের আলাদা অবস্থানের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) সমাবেশ করার সুবিধার কথা ভেবেই সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছে। তারা যেই সমাবেশ করার কথা বলেছে, ১০ লাখ মানুষ জড়ো হবে। কিন্তু সোহরাওয়ার্দীতে ১০ লাখ মানুষ ধরার জায়গা নেই। কিন্তু ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় মাঠ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। তারা যে ধরনের সমাবেশ করতে চায় সেক্ষেত্রে পূর্বাচলের বাণিজ্য মেলার মাঠ ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই।’


বিজ্ঞাপন


তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সৎ উদ্দেশ্যে তাদের সমাবেশ করার সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছে। কারণ নয়াপল্টনের সামনে ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ জড়ো হতে পারবে। কিন্তু তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, তাহলে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’

সমাবেশ বানচালে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আজগুবি মামলা দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেখুন, তারা যাতে সমাবেশ নির্বিঘ্নে করতে পারেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বরের বদলে ৬ ডিসেম্বর করেছেন। ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এরপর সেই মঞ্চ-প্যান্ডেল গুটিয়ে ফেলা হবে বিএনপি যাতে সময় নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ বানাতে পারে। যে কারণে ছাত্রলীগের সম্মেলন নির্ধারিত তারিখ থেকে দুই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। কোনো সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া সহজ হলেও এগিয়ে আনা সহজ না। কারণ এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা থাকে। কিন্তু আমরা সেই কাজটি করেছি।’

বিএনপিকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক আখ্যা দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি সারাদেশে সমাবেশের নামে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে জঙ্গিরাও আগের তুলনায় তৎপর হয়ে উঠেছে। এই দেশের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মধ্যেও জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে। এ সব দলের নেতারা আফগানিস্তানের তালেবানের মতাদর্শ বিশ্বাস ও লালন করে। তারা দেশটাকে আফগানিস্তান বানাতে চায়।’

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর