বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ বারবার পরিবর্তনের নেপথ্যে কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ০৪:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ বারবার পরিবর্তনের নেপথ্যে কী?
২০১৮ সালে অনুষ্ঠত ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের একটি মুহূর্ত। ফাইল ছবি

আগেও দু’বার আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। তবে প্রতিবারই নতুন ঘোষণায় সম্মেলনের তারিখ বদলায়। সবশেষ রোববারও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে নতুন ঘোষণা এসেছে। এ দিন সকালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন দলটির ভ্রাতৃপ্রতীম এই সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

অবশ্য, নতুন তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে জানানোর পাশাপাশি সম্মেলনের তারিখ বদলের কারণও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা। জানিয়েছেন, ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপি যেন সুষ্ঠুভাবে সমাবেশ করতে পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের ৮ ডিসেম্বরের কেন্দ্রীয় সম্মেলন দুদিন এগিয়ে ৬ তারিখে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


যদিও আগের সিদ্ধান্ত ছিল আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগেও প্রথম দফায় আগামী ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। পরে তা পরিবর্তন করে ৮ ও ৯ ডিসেম্বর করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে আগামী ২৯ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান যাওয়ার কথা ছিল সরকারপ্রধানের। এরপর সেখান থেকে ফেরার কথা ছিল ৩ ডিসেম্বর। এ কারণে এক দফায় ছাত্রলীগের সম্মেলন পেছানো হয়। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সেই সফরও এখন পিছিয়েছে।

যেমন নেতৃত্ব আসতে পারে

১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর সংগঠনটির শীর্ষ দুই পদে কয়েকজন দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষ ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ সাল অবধি দুই মেয়াদে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। তবে ১৯৬৮ সালের পর সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদে কেউই দুই মেয়াদে দায়িত্ব পাননি। আবার একবার সভাপতি, একবার সাধারণ সম্পাদক হওয়ার ঘটনাও নেই। ফলে ৫৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বা সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য যে পুনর্নির্বাচিত হবেন না, তা সহজেই অনুমান করা যায়। তাই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন- তা নিয়েই ছাত্রলীগের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা।


বিজ্ঞাপন


Chhatra Leagueজানা গেছে, শীর্ষ দুই পদে যারা আসতে চান তাদের মধ্যে অনেকেই বর্তমান কমিটির কোনো না কোনো পদে আছেন। কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, কেউবা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের।

এদিকে, ছাত্রলীগের সম্মেলন ও নতুন নেতৃত্বের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আবদুর রহমান ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বয়সসীমা থাকতে হবে, অবিবাহিত থাকতে হবে, ছাত্র হতে হবে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতা আছে, ছাত্রসমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য- এমন নেতৃত্ব উঠে আসুক, এটাই আমার প্রত্যাশা।

সম্মেলন ঘিরে ছাত্রলীগের প্রস্তুতি

আগামী ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনকে ঘিরে এগারোটি উপ-কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগের চাইতেও পাঁচটি বেশি উপ-কমিটি নিয়ে নিজেদের ৩০তম সম্মেলন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে মোট ১৬টি উপ-কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গত ২৩ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব উপ-কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

Chhatra Leagueগঠিত উপ-কমিটিগুলো হলো- সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি, অভ্যর্থনা উপ-কমিটি, শৃঙ্খলা উপ-কমিটি, আপ্যায়ন উপ-কমিটি, সাজসজ্জা উপ-কমিটি, দফতর উপ-কমিটি, প্রকাশনা উপ কমিটি, গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র সংশোধন উপ-কমিটি, আন্তর্জাতিক উপ-কমিটি, মঞ্চ উপ-কমিটি, প্রচার উপ-কমিটি, তথ্য ও প্রযুক্তি উপ-কমিটি, সাংস্কৃতিক উপ-কমিটি, যোগাযোগ উপ-কমিটি, স্বাস্থ্য উপ-কমিটি এবং অর্থ উপ-কমিটি।

এসব উপ-কমিটি ছাড়াও নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরমধ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম সুমনকে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম টিটন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  শামস-ঈ-নোমান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন।

কারই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর