শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

সরকার ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ছে: কর্নেল অলি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ০২:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

সরকার ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ছে: কর্নেল অলি

সরকার ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ।

তিনি বলেছেন, ছয় মাস আগেও ধৈর্য্য ধরে এবং ভয়ে মানুষ চুপচাপ ঘরে বসে ছিল। কিন্তু গত দুই মাস ধরে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং অমানবিক কষ্ট সহ্য করে, ভয়কে জয় করে, নিজের পয়সা খরচ করে, স্বউদ্যোগে জীবনের মায়া ত্যাগ করে, বিএনপি'র জনসভাগুলিতে অংশ নিচ্ছে, যা অকল্পনীয়। 


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার সংলগ্ন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজনৈতিকসহ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

অলি আহমদ বলেন, বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বর্তমান নিশিরাতের বিনা ভোটে, প্রশাসন দ্বারা নির্বাচিত অবৈধ সরকারের- সীমাহীন অদক্ষতা, লাগামহীন দুর্নীতি, জবাবদিহিহীনতা, সুশাসনের অভাব, মানবাধিকার লংঘন, সর্বত্র দলীয়করণ, বিচারহীনতা, এক দলীয় শাসন, খুন, গুমসহ সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংসকরণ এবং নিত্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি এবং সর্বোপরি বেকার সমস্যার কারণে সরকার ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়েছে।

এলডিপি সভাপতি আরও বলেন, বিরোধীদলগুলো সংবিধান অনুযায়ী, আইন অনুসরণ করেও সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে জনসভা বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে না। অথচ আওয়ামী লীগ পুলিশ পাহারায় যখন ইচ্ছা যত্রতত্র জনসভা এবং সমাবেশ করে যাচ্ছে।

oil-2


বিজ্ঞাপন


প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন উপায়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সরকারদলীয় অস্ত্রবাজ, সন্ত্রাসী ক্যাডারেরা প্রকাশ্যে অস্ত্র ব্যবহার করে, বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় কর্মকাণ্ডগুলিকে বানচাল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় বিএনপি'র ৭-৮ জন নেতাকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করেছে। কয়েকশত নতুন মিথ্যা মামলা করেছে। হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য আসামি করা হয়েছে। পুলিশের নির্যাতনের কারণে অনেকে নিজ গৃহে ঘুমাতে পারে না। কিছু কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ এবং তাদের নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকারকে নগ্নভাবে অবৈধ কর্মকাণ্ডে সাহায্য করে যাচ্ছে। সরাসরি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। 

সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যে বা যারা অতীতে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল, তাদের কিন্তু শেষ পরিণতি সুখকর হয়নি। সরকার তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হয় খুব দ্রুত অর্থনৈতিক ধ্বংস এবং সংঘাতের দিকে জাতি এগিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সরকারকে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে। তাদের পক্ষে বর্তমান অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা নাই এবং অন্যদিকে রক্তপাত এড়ানো সম্ভব হবে কিনা জানি না।

এমই/এমআর/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর