শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিএনপির উস্কানিতেও আমরা সংযত, বিশৃঙ্খলা রুখবে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ০৭:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

বিএনপির উস্কানিতেও আমরা সংযত, বিশৃঙ্খলা রুখবে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরও সরকার সংযত আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরও আমাদের দলকে সংযত আচরণ করার জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু ঢাকা শহর কিংবা দেশের অন্য কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খলা করলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে।’

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ৫৭তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসের জারুলতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


‘হেফাজতের মতো বিএনপিকে দমন করা যাবে না’বলে বিএনপির মহাসচিব যে মন্তব্য করেছিলেন তার জবাবে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, 'আমরা বিএনপিকে কখনো দমন করার নীতি অবলম্বন করিনি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আমাদেরকে কোনো সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুইপাশে কাঁটাতারের বেড়া থাকতো। সেই বেড়ার বাইরে আমরা যেতে পারতাম না।'

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তর ড. হাছান মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপ্তি এবং সুনাম নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর। শুধু পাঠদান ও ডিগ্রি প্রদানই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে জ্ঞানের চর্চা করা এবং সেই জ্ঞানের চর্চার সঙ্গে বিশ্বাঙ্গনের যোগসূত্র ঘটানো।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিতে হলে যা করা প্রয়োজন তার মধ্যে একটি হলো- বাৎসরিক ক্যালেন্ডার করে এখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার- সিম্পোজিয়াম আয়োজন। আরেকটি হলো, একটি মানসম্মত জার্নালের নিয়মিত প্রকাশ  এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের গবেষণালব্ধ নিবন্ধ সেখানে ছাপা এবং তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া, তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব এবং মর্যাদা বাড়াবে। বিশাঙ্গনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ হবে। আর অবকাঠামোগত উন্নয়নই সব নয়, উন্নত পাঠদান, বহুমাত্রিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক চর্চার উন্নয়নের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নির্ভর করে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতির চর্চা আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার তথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এখানে আসার সময় একটি ছোট্ট মানববন্ধন দেখেছি- চারুকলা ডিপার্টমেন্টকে এখানে ফিরিয়ে আনার জন্য। চারুকলা ডিপার্টমেন্টকে একেবারে এই ক্যাম্পাস থেকে সবকিছু গুটিয়ে শহরে পাঠিয়ে দেওয়া একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, এটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমি উপাচার্যের সঙ্গে আলাপ করেছি অন্তত মাস্টার্স ডিপার্টমেন্টটা আপাতত ক্যাম্পাসে আসতে পারে।


বিজ্ঞাপন


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, সাধারণ সম্পাদক ও চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ, চাকসুর সাবেক ভিপি মাজহারুল হক শাহ ও নাজিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া স্বাগত বক্তব্য দেন।

এদিন তথ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সোহরাওয়ার্দী হলেও যে কক্ষে থাকতেন সেখানে অবস্থানরত বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান।

প্রতিনিধি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর