বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রথম সম্মেলনেই অনেকটা অগোছালো ছিল সংগঠনটি। সম্মেলনস্থলে শৃঙ্খলার ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিষয়টি চোখ এড়ায়নি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটের বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
সম্মেলনকে ঘিরে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন সেখানে। মূল সম্মেলন হলে প্রবেশাধিকার নিয়ে বাধে বিপত্তি। সম্মেলনের আগে বিতরণ করা কার্ড ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা। বাধার মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদেরও।
সম্মেলন মঞ্চ ও অতিথি-নেতাকর্মীদের বসার আসনের মাঝে প্রায় ১৫ ফুট জায়গা খালি। সেখানে সৈনিক লীগের নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। নেতাকর্মীদের জন্য পেছনে চেয়ারে বসা অতিথিরা মঞ্চের নেতাদের ঠিকভাবে দেখতে পাচ্ছিলেন না। এমনকি মঞ্চে ওঠার সিঁড়িওতে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন নেতাকর্মী।
নেতারা যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন তাদের বক্তব্যের সঙ্গে স্লোগান দেন কর্মীরা। সেই স্লোগানও দেখা গেছে এলোমেলো।
সম্মেলনের শেষ দিকে মঞ্চে ওঠেন সম্মেলনের প্রধান অতিথি ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিজ্ঞাপন
তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় তার পেছনে ভিড় করেন অন্তত ত্রিশ-চল্লিশ জন নেতাকর্মী। বক্তব্যের মাঝেই বিরক্তি প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় তিনি বলেন, কেন এখানে দাঁড়িয়ে? কি কারণ? এদেরকে ঠিক করেন। বের হন।
কমিটি ঘোষণার আগে হাকডাক শুরু করেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা।
এ সময় কাদের বলেন, আমাদের মূল অভিভাবক আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে, সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
তখন আবার ওবায়দুল কাদের বলেন, বাড়াবাড়ি করবেন না। প্লীজ। আশা নিয়ে থাকেন। নেত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন।
কারই/এএস