রোববার, ১৯ মে, ২০২৪, ঢাকা

তিনদিন পূর্বেই সমাবেশে এসেছেন ষাটোর্ধ শুকুর ও আবেদ আলী

মো. ইলিয়াস
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২২, ০১:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

তিনদিন পূর্বেই সমাবেশে এসেছেন ষাটোর্ধ শুকুর ও আবেদ আলী

ফরিদপুর বিভাগীয় সমাবেশ আজ শনিবার (১২ নভেম্বর) হলেও তিনদিন পূর্বেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে হয়রানি থেকে বাঁচতে তারা এই পন্থা অবলম্বন করেছেন। অনেকেই বাড়ি থেকে চিড়া-মুড়ি-কলা নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। মাঠের মধ্যে তাঁবু টাঙিয়ে চলে আড্ডা ও স্লোগান। মধ্যরাতে ওই তাঁবুর নিচেই ঘুমিয়ে রাতযাপন করেন হাজারো নেতাকর্মী। অনেকে চাদর, কাঁথা, বিছানা নিয়ে এসেছেন। এছাড়া স্থানীয় লোকজনের বাড়ির উঠোনে বারান্দায় রাত কাটাচ্ছেন সমাবেশে আগত নেতাকর্মীরা।

রাজবাড়ী পাংশা থানা মাছপাড়া ইউনিয়ন থেকে চারশো জন লোক সমাবেশে এসেছেন, তাদের মধ্যে ৩৫০ জনই কৃষক। এদের মধ্যে ৬৪ বছর বয়সী একজন কৃষক মো. শুকুর আলী পরামানিক। ঠাণ্ডার মধ্যে সমাবেশের তিনদিন পূর্বে আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার সমাবেশের পূর্বে গাড়ি বন্ধ করে দেয় সেজন্য আগেই চলে এসেছি। এখানে এসেছি সকল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কিন্তু আমাদের কৃষি পণ্যের কোনো মূল্য পাচ্ছি না। সরকার যতই বলুক, কিন্তু আমরা পাচ্ছি না। সার, বীজ, কীটনাশকসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম অতিরিক্ত, সেই তুলনায় আমাদের জিনিস পত্রের দাম পাচ্ছি না। একটি সাবানও আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এজন্যই আমরা এসেছি যে এই সরকারকে আর চাই না।


বিজ্ঞাপন


এই সমাবেশের মাধ্যমে আপনার দাবি কি পূর্ণ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরকি করব, আমরা ৭২ সালে দেখেছি একদলীয় শাসন, আবার এখনো দেখছি সেই একদলীয় শাসন। এখন কথা বলার মতো কায়দা নেই। আপনি আমার ওপর একটা চাবুক মারলেন, কিন্তু কেন মারলেন তার কোনো জবাবদিহিতা নেই। সমাবেশের মধ্য দিয়ে যদি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসে, মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে তাহলে সরকার বদল হবে। 

তাদের মধ্যে বিএনপির সমর্থক ৭৫ বছর বয়সী কৃষক মো আবেদ আলী মোল্লা। তিনি বলেন, এখানে দুইদিন থাকব, এ-ই কষ্ট কিছুই মনে করছি না; গত ১৪ বছরে কষ্ট করতেছি। এই তিনদিনের থাকব, আনন্দে এসেছি। সমাবেশে এসেছি বিএনপি সরকারকে ক্ষমতায় আনার জন্য। 

আপনি সমাবেশে এসেছেন এতে কি বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসবে জবাবে আবেদ আলী মোল্লা বলেন, চেষ্টা করতেছি দেখা যাক আল্লাহ কি করে। আল্লাহ যদি তাওফিক দেয় তাহলে অবশ্যই জয় হবে। ১৪ বছর ধরে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবার দেয় না। বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায়, যে খবরদার সেন্টারে যাবার পারবি নে।

সমাবেশে আসাতে কোনো চাপ আসবে কি-না- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, চাপতো আসবেই। আমার ভরসা আল্লাহর উপর। এখন মাঠে নেমেছি শেষ পর্যন্ত থাকব। প্রয়োজনে গুলি খাব, মরে যাব। মরতে তো একদিন হবেই। নির্যাতনে বাইচা থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই অনেক ভালো। 


বিজ্ঞাপন


এমই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর