শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কে এই নূর হোসেন, কীভাবে নিহত হন তিনি?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২, ০৬:১৩ এএম

শেয়ার করুন:

কে এই নূর হোসেন, কীভাবে নিহত হন তিনি?
গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রেরণা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন নূর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নূর হোসেন। গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে প্রাণ হারানো এই আওয়ামী লীগ নেতাকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রেরণা হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন।

তার পৈতৃক নিবাস পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তার পরিবার স্থান পরিবর্তন করে ঢাকার বনগ্রাম রোডে আসে। সেখানকার ৭৯/১নং বাড়িতে ছিল তার বসবাস। নূর হোসেনের বাবা মুজিবুর রহমান ছিলেন পেশায় অটোরিকশা চালক। তার মায়ের নাম মরিয়ম বিবি।


বিজ্ঞাপন


অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর নূর হোসেনের শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি ঘটে। আয়ের পথ হিসেবে বেছে নেন পরিবহন শ্রমিকের কাজ।

আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর অবিস্মরণীয়: প্রধানমন্ত্রী

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারানো নূর হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা জেলা আওয়ামী মোটরচালক লীগের বনগ্রাম শাখার প্রচার সম্পাদক ছিলেন।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একত্র হয়ে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের লক্ষ্যে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করে। অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় একটি মিছিলে নূর হোসেন অংশ নেন। প্রতিবাদ হিসেবে বুকে পিঠে সাদা রঙে লিখিয়ে নেন- ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।


বিজ্ঞাপন


নূর হোসেনদের সে মিছিলটি গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি এলে পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারান নূর হোসেন। সেদিন আরও দুইজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানায় সে সময়ের এরশাদবিরোধী আন্দোলনের দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ঘটনার পর টানা দুই দিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে তারা। শুরু হয় বিক্ষোভ। যা ধীরে ধীরে গণআন্দোলনে রূপ পায়। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদ পদত্যাগ করেন। নূর হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনা এরশাদবিরোধী আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দেয়।

আরও পড়ুন: শহীদ নূর হোসেনের আত্মত্যাগের ৩৫ বছর

নূর হোসেন স্মরণে প্রতি বছরই দিবসটি পালন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটায় রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করবেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’ যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের জন্য আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

কারই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর