শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জনগণের আস্থা রয়েছে, এবারও আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০৬:০৭ পিএম

শেয়ার করুন:

জনগণের আস্থা রয়েছে, এবারও আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের আস্থা রয়েছে, এজন্য তারা টানা তিনবার ভোট দিয়ে দলটিকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে বলে মনে করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই বিএনপি আন্দোলন করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওপরে মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তিনবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, এবারও দেবে। কিন্তু যারা সন্ত্রাসী, খুনি, অর্থ লুটপাটকারী জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, ভোটও দেবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই বিএনপি আজ আন্দোলন করতে পারছে। কিন্তু বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে হবে, কোনো ছাড় নেই।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতায় ব্যয় কমানো হবে। আয়োজন হবে সাদামাটা।

pm2


বিজ্ঞাপন


শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং আমরা কাজ করে যাবো। আমার কথা হচ্ছে, আমাদের উন্নয়নের কথাগুলো যেমন মানুষের কাছে পৌঁছায়ে দিতে হবে। ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের জন্য যে আমরা পরিকল্পনা করছি সেটাও মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। বিএনপির আমলে যে তাদের লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, গ্রেনেড হামলা, অত্যাচার নির্যাতন, খুন রাহাজানি এমন কোনো অপকর্ম নাই যা তারা না করেছে। যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে এসেছে সেই দেশকে তারা ভিখারির দেশে পরিণত করে। হাত পেতে চলার দেশে পরিণত হয়েছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশকে তুলে এনে আজকে আমরা আত্মমর্যাদাশীল দেশে পরিণতি করেছি। যে দেশকে বিশ্বের মানুষ সম্মানের চোখে দেখে।

সূচনা বক্তব্যে বিএনপির সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের সভায় একের পর এক বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালানো হলেও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে সক্ষম হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কামরান ও শেখ হেলালের বৈঠকে গ্রেনেড ও বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। এছাড়া বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে এবং মঞ্জুরুল ইমাম ও মমতাজসহ অনেককে হত্যা করেছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সারাদেশে এমন কোনো উপজেলা ও জেলা নেই যেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়নি। তারা আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তবে বাস্তবতা হলো আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী হচ্ছে এবং জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।’

আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাবের হোসেন চৌধুরী ও মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর বিএনপি-জামায়াতের অমানবিক নির্যাতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির নির্মম নির্যাতনের কথা ভুলে গেলে চলবে না, বরং তারা বারবার প্রকাশ্যে এটি করেছে।’

pm3

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে ৬৪টির মধ্যে ৬৩টি জেলায় সুসংগঠিত উপায়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। বাংলাদেশে তাদের শাসনামলে পুলিশের প্রহরায় সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা মিছিল বের করেছিল।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি রাতে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট ও এরশাদ সরকার যতটা সময় ক্ষমতায় ছিল তারা নির্যাতন, হত্যা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে লিপ্ত ছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, আমি জানি তারা অনেকে লুকিয়ে ছিল। এখন বিএনপি মাঠে নেমেছে, তারাও মাঠে নামবে। এই সমস্ত আসামিদের কিন্তু ধরতে হবে। তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। কারণ তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। জীবন্ত মানুষ হত্যা করেছে। চোখ-হাত কেটেছে, মানুষকে নির্যাতন করেছে। তাদের ছাড় নেই। আইন তার আপন গড়িতে চলবে। আইন সকলের জন্য সমান। এটা তাদের মাথায় রাখতে হবে। রাজনীতি করবে রাজনীতিক হিসেবে। কিন্তু সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী রাজনীতি এ দেশে চলবে না। এটা আমরা চলতে দেবো না। এটা মাথায় রাখতে হবে।’

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর