শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিমানবন্দরে চালকের ভুলে গণ্ডগোল, ক্ষমা চেয়ে প্রশংসায় ভাসছেন স্বপন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২২, ০১:১৬ এএম

শেয়ার করুন:

বিমানবন্দরে চালকের ভুলে গণ্ডগোল, ক্ষমা চেয়ে প্রশংসায় ভাসছেন স্বপন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিজের গাড়ি চালকের কারণে যানজটের সৃষ্টি হওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সমালোচনা নিয়ে মুখ খুলেছেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। ওইসময়ে ঘটনাস্থলে না থেকেও চালকের ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এই রাজনীতিক। ঘটনার সঙ্গে নিজে যুক্ত না থেকেও তার এমন উপলব্ধিতে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে।

কেউ কেউ বলছেন, এমন ঘটনা থেকে অন্য রাজনীতিবিদদের শেখার আছে। কেউ আবার বলছেন, অন্যদের চেয়ে এই জায়গাতেই হুইপ স্বপনের ভিন্নতা।


বিজ্ঞাপন


নিজের ফেসবুক পেজে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক পোস্টে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন লিখেছেন, ‘বিমানবন্দরের ওই ঘটনায় আমি যুক্ত না থাকলেও আমার নাম ব্যবহৃত হওয়ায় আমি প্রশ্নবিদ্ধ ও অভিযুক্ত হয়েছি। সুতরাং আমি আমার অনুপস্থিতিতে আমার ড্রাইভারের ত্রুটির জন্য একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেই ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে আসা হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তার গাড়ির চালক। কিন্তু বিমানবন্দরে গাড়ির চাপের কারণে তার পতাকাবাহী গাড়িটি মাঝপথে অপেক্ষায় না রেখে সরিয়ে নিতে চালককে বারবার অনুরোধ করেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় থাকা এপিবিএন সদস্যরা। কিন্তু হুইপের গাড়ি বলে চালক তা সরাতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে সেখানে থাকা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। যা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়।

অবশ্য ওই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদের হুইপ গাড়িতে না থাকলেও ঘটনার একদিন পর বিষয়টির জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর কথা তুলে ধরে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ পোস্টে বলেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে গাড়ি রাখা নিয়ে আমার অফিসিয়াল ড্রাইভারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচিত হয়েছে। ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম না, ঘটনাটি আমার কোনো রাজনৈতিক সহকর্মী বা সহকারী করেননি। একজন ড্রাইভারের সঙ্গে সংঘটিত হয়েছে। সরকারি এই ড্রাইভার রাজনৈতিক নেতার ডিউটি না করলে সমস্যা হতো না। যেহেতু রাজনৈতিক নেতার ডিউটি করেন, সেহেতু সমালোচনার ঝড় ওঠা স্বাভাবিক।’


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ‘আমি যুক্ত না থাকলেও আমার নাম ব্যবহৃত হওয়ায় আমি প্রশ্নবিদ্ধ ও অভিযুক্ত হয়েছি। আমি ক্ষমতা প্রদর্শনের অপসংস্কৃতিতে আক্রান্ত নয়। বরং বরাবরই জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মচারীরা যে জনগণ নিযুক্ত এবং কোনোভাবেই আমাদের মর্যাদা জনগণের ওপর নয়, সে বিষয়ে আমি সরব ভূমিকা পালন করে আসছি এবং নিজেও প্রতিপালন করি। সুতরাং আমি আমার অনুপস্থিতিতে আমার ড্রাইভারের ত্রুটির জন্য একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেই ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এদিকে তার এই পোস্টের নিচে অনেকেই প্রশংসা করে নানা মন্তব্য করছেন। অনেকে প্রশংসামূলক কথা লিখে তার পোস্ট শেয়ারও করছেন। 

অন্যদিকে যে সাংবাদিক প্রথমে ভিডিওটি করেছিলেন তিনিও সরকারি দলের এই প্রভাবশালী নেতার ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টির প্রসংশা করেছেন। নিজে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিইউ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর