বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ছাত্রলীগ নিয়ে গোলাম রাব্বানীর বিস্ফোরক মন্তব্য!

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৪০ এএম

শেয়ার করুন:

ছাত্রলীগ নিয়ে গোলাম রাব্বানীর বিস্ফোরক মন্তব্য!
ছবি: সংগৃহীত

ত্যাগীদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে কমিটিতে পছন্দের লোক বসানোর অভিযোগ প্রায়ই ওঠে ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে। আবার পদ পাওয়ার পর কেউ কেউ ক্ষমতা দেখাতে নিজেদের মধ্যেই সৃষ্টি করছেন কোন্দল। এতে দেখা দেয় অস্থিরতা। এসবের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদকের সর্বময় ক্ষমতা আর অন্য নেতাদের মূল্যায়ন না করাকে দুষছেন সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দ্বন্দ্ব যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন এমন মন্তব্য করলেন ছাত্রলীগের সাবেক এই শীর্ষ নেতা।


বিজ্ঞাপন


রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন তিনি। গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রে ও বিভিন্ন ইউনিটে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এর মূল কারণ, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ব্যতিরেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অন্যদের যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়া।’

তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জানেও না কখন, কীভাবে, কাদের দিয়ে, কোন প্রক্রিয়ায় তার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিট বা নিজ এলাকায় ছাত্রলীগের কমিটি হয়ে গেলো, পূর্ণাঙ্গ হলো বা ভেঙে গেলো! সবই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও তাদের নির্দিষ্ট বলয় সর্বস্ব! কোনো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার বালাই নেই!’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের থেকে কমিশন চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোভন-রাব্বানীকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যদিও চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি বেমালুম অস্বীকার করেছেন রাব্বানীরা। 

গত শনি ও রোববার ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি হয়। একপর্যায়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মেরে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয় অন্য গ্রুপের লোকজন। পরে গতরাতে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়। একইসঙ্গে ১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়। 


বিজ্ঞাপন


গোলাম রাব্বানী বলেন, ছাত্রলীগে এই অচলায়তন আগেও ছিল, অতীতে আমরাও এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করেছিলাম বিধায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার পর, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের অফিসে আমাদের প্রথম বর্ধিত সভায় পুরো কেন্দ্রীয় নেতার সামনে আমি সপ্রণোদিত হয়ে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে গঠনতন্ত্র সংশোধন করার প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। যেখানে বলা হয়েছিল এখন থেকে যেকোনো ইউনিটের কমিটি করতে বা গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতার’ লিখিত সুপারিশ ও স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক। সেই প্রস্তাবে সবাই বাহবা দিয়েছিল।

তবে তা পাস না হওয়ার জন্য আক্ষেপ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় সকল কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ১ নম্বর জয়েন্ট সেক্রেটারিও হাততালি দিয়ে, টেবিল চাপড়ে তাতে সায় দিলেও সভাপতি মহোদয়ের অনিচ্ছায় আমার প্রস্তাবটি সেদিন গৃহীত হয়নি।’

বর্তমান কমিটিকে তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, এখন বর্তমান শীর্ষ নেতারা উদ্ভুত অচলায়তন কাটাতে, আগামীকালই কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সভা ডেকে সেই ঐতিহাসিক প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে পারে। সেদিনের সেই নীতিগত সম্মতি ও হাস্যোজ্জ্বল হাততোলা দারুণ স্বদিচ্ছা নিশ্চয়ই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও পোক্ত হওয়ার কথা।

বিইউ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর