বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পদ বাণিজ্যের প্রতিবেদন মিথ্যা দাবি, ছাত্রলীগের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৩৬ পিএম

শেয়ার করুন:

পদ বাণিজ্যের প্রতিবেদন মিথ্যা দাবি, ছাত্রলীগের মামলা

ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে পদ বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশের জেরে দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রকাশক মাহির আলী খান রাতুল ও জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পাভেল হায়দার চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে ছাত্রলীগ।  

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বাদী হয়ে এ মামলা করেন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা। 


বিজ্ঞাপন


প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম শহীদুল ইসলাম দেশ রূপান্তর প্রকাশক ও প্রতিবেদককে আগামী ২০ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

মামলায় বাদী নিজেসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশি ও সংগঠনটির ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় শাখার আরও দুই নেতাকে সাক্ষী করা হয়েছে।  

গত ৬ জুলাই দেশ রূপান্তর পত্রিকায় ‘ছাত্রলীগের পদ কোটি টাকা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন ৭ জুলাই দেশ রূপান্তর পত্রিকার  সম্পাদক, প্রকাশক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এতে প্রতিবেদনটি মিথ্যা, বানোয়াট দাবি করে ভুল স্বীকার করে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিবেদন প্রকাশের আড়াই মাস পর মানহানির এ মামলা করলো ছাত্রলীগ।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ছাত্র সংগঠন। শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন। জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া, জীবন ও যৌবনের উত্তাপে শুদ্ধ সংগঠন। সোনার বাংলা বিনির্মাণে কর্মী গড়ার পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিদ্যার সঙ্গে বিনয়, শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা, কর্মের সঙ্গে নিষ্ঠা, জীবনের সঙ্গে দেশ প্রেম এবং মানবিক গুনাবলীর সংমিশ্রন ঘটানো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম কাজ।


বিজ্ঞাপন


দেশ রূপান্তরে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের তারিখ ও শিরোনাম উল্লেখ করে এতে বলা হয়, অনলাইন ও মুদ্রিত মাধ্যমে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট রিপোর্ট মুদ্রন লিখন, প্রচার ও প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সুনাম, গৌরব ও এতিহ্যে আঘাত করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সাক্ষীর মানহানি করেন। এরূপ মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য লিখন, মুদ্রন, প্রচার ও প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগের ইতিহাস, ঐতিহ্যের সুনাম ও সুখ্যাতিতে আঘাত করে মানহানি করেছেন। আরজিতে বলা হয়, আসামিগন ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্ররীগের সকল নেতাকর্মীকে অপমান ও অপদস্থ এবং হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে এরূপ মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে দ-বিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় অপরাধ করেছেন।

কারই/ একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর