বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সাজেদা চৌধুরীর আসনে নৌকা চান তারা

কাজী রফিক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:০২ এএম

শেয়ার করুন:

সাজেদা চৌধুরীর আসনে নৌকা চান তারা

প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর আসনে (ফরিদপুর-২) মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন সাতজন। তাদের মধ্যে রয়েছে তার ছেলেও। দলীয় নেতাকর্মীদের ভাষ্য, পরিবারতন্ত্র থেকে বের হয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগে সাজেদা চৌধুরীর ছেলে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ।

ফরিদপুর-২ আসনটি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলা সালথা উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।


বিজ্ঞাপন


১৯৮৬ সালের জাতীয় পার্টির হাতে ছিল ফরিদপুর-২ আসন। এরশাদের দল ১৯৯১ সাল পর্যন্ত আসনটিতে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় রেখেছিল। তবে ১৯৯১ সালে ফরিদপুর-২ আসনের কর্তৃত্ব নেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য ১৯৯৬ এর নির্বাচনে আসনটি হারান। ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি রাজত্ব ছিল ফরিদপুর-২ আসনে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সাল থেকে আমৃত্যু সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের হয়ে আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা। তিনি ব্যক্তি নন, দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ৮৭ বছরের জীবনে ৬৬ বছরই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, যোগ্য কোনো নেতৃত্ব তৈরি হয়নি তার ঘরে। 

মৃত্যুর আগে দীর্ঘ সময় অসুস্থ ছিলেন তিনি। সে সময়ে তার সংসদীয় আসনে অনেকটা অযাচিতভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তার ছোট ছেলে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। দলীয় কোনো পদ-পদবী না থাকলেও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে তাকে। তবে সাংবিধানিকভাবে বা আওয়ামী লীগে এ ধরনের কোনো পদ নেই। ফলে বরাবরই বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ ছিল স্থানীয় রাজনীতি নেতাদের। 

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর সেই আসনে প্রার্থী হতে চান লাবু চৌধুরী। তবে দলীয় কোনো পদ পদবী না থাকায় এ দৌড়ে তিনি টিকবেন না বলে স্পষ্ট ধারণা ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রায় সকলের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর-২ আসনে নৌকার টিকেট চান সাবেক বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা কাজী দেলোয়ার হোসেন।

নগরকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান সরদারও রয়েছেন এই দৌড়ে। 

নৌকার মাঝি হতে চান জেলা মৎস্য লীগের আহ্বায়ক কাজী সোবাহান। 

স্থানীয় আওয়ামী লীগে গুঞ্জন রয়েছে মেজর (অব.) আতমা হালিম বাকীদের তুলনায় নৌকার প্রার্থী হওয়ার জন্য তুলনামূলক যোগ্য। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। তিনি সাবেক যুবলীগ নেতা। বর্তমানে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি। 

দল পাল্টে আওয়ামী লীগে আসা জুয়েল চৌধুরীও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বলে জানা গেছে। তিনি জাতীয় পার্টির হয়ে সংসদ সদস্য ছিলেন। পরে দল পাল্টে এসেছেন আওয়ামী লীগে। বর্তমানে শ্রমিক লীগের রাজনীতি করছেন তিনি। 

কারই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর