দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন বিএনপি করার গুঞ্জন নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন বিএনপি করার গুঞ্জন নাকচ করে দিয়ে তিনি বললেন, যা বলা হচ্ছে তা মিথ্যা, বানোয়াট।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিওএইচএসএর বাসভবনে অবস্থিত কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন কর্নেল অলি।
বিজ্ঞাপন
অলি আহমদ দাবি করেন, বিগত ১৩ বছরেও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাথে আমার দেখা হয়নি। এমনকি টেলিফোনেও আলাপ হয়নি। বি চৌধুরীর সঙ্গে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা আবদুর রহমান সম্প্রতি একাধিক সভায় বলেছেন, বিএনপির সাবেক দুই নেতা একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী) ও কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বে নতুন বিএনপি হচ্ছে।
এ সম্পর্কে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাথে আমাকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমানের এমন বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং দূরভিসন্ধিমূলক। এ ধরনের বক্তব্য আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতার কাছ থেকে আশা করিনি।
নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে। এর সাথে এলডিপি একমত কি না? এ প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, বিএনপির সকল দাবির সাথে আমরা একমত। এ ব্যাপারে গত চার মাসে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদের উপস্থিতিতে আমার বাসায় দুইবার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে এ সরকার ক্ষমতাচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঐক্যমত পোষণ করেছি।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, সবকিছু বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ভারতে তার এই সফরে প্রাপ্তি শূন্য।
অলি আহমদ সরকারের উদ্দেশে বলেন, রক্ষা পেতে চাইলে আর দেরি না করে-সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মধ্যবর্তী সরকার গঠন করে দেশ ত্যাগ করুন। আওয়ামী লীগের কাউকে দিয়ে নয়, এই মধ্যবর্তী সরকার গঠন করতে হবে ন্যায় নিষ্ঠাবান, সৎ, শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের দিয়ে।
অলি বলেন, আওয়ামী লীগের দিন শেষ হয়ে আসছে। এটা বুঝতে পেরে এখন তাদের শত শত কর্মী আমেরিকায় পালিয়েছে।
এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকায় পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা সেখানে বৈধ হতে এলডিপির সদস্য হয়ে সার্টিফিকেট নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। তারা প্রতিনিয়ত এলডিপিতে যোগদান করার জন্য বিভিন্নভাবে তদবির চালাচ্ছে।
কিছু দুষ্কৃতিকারী বিদেশে পলায়নের জন্য পাঁয়তারা করছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, এরমধ্যে বেশকিছু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন। যারা ২০১৮ সালে নির্বাচনে তাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ব্যালট পেপার কেটে ব্যালট বাক্সভর্তি করে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছে।
বিইউ/জেবি