শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২২, ০২:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

‘বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে’

বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।

তিনি বলেন, তারা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে পাকিস্তানি ভাবধারায় রাষ্ট্র গঠন করে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে। 


বিজ্ঞাপন


শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকাল দশটায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় ‘১৫ এবং ২১ আগস্ট বাঙালি জাতির নেতৃত্ব নির্মূলে নীলনকশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে রিসার্চ এণ্ড ডায়লগ ইন্টারন্যাশনাল (আরডিআই)।

অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপ-উপাচার্য ও আরডিআই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ ও রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন আরডিআই’র নির্বাহী পরিচালক মিঠুন মুস্তাফিজ।

মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, খালদো জিয়া ও তারেক রহমান রাজনীতিবিদ নয় বরং পাকিস্তানি ভাবধারার পৈশাচিক, বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি। প্রত্যেকটা গণহত্যায় এই পরিবারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গণহত্যা একই যোগসূত্র পাওয়া যায়। একাত্তরের গণহত্যাও একই জায়গা থেকে পরিচালিত। 

২১ আগস্ট নিয়ে বিএনপি ২০০৪ সালে মিথ্যাচার করেছে, এখনো করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের শাবক তারেক রহমান লণ্ডনে বসে বলছে- ২১ আগস্টের জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। যেটা উনার মা (খালেদা) বলেছেন সংসদে। কি পরিমাণে পৈশাচিকতা ঢুকলে এসব বলা যায়। গণহত্যা চালানোর পর তাদের কোনো অনুশোচনা হয়নি বরং তারা এখনো নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। 


বিজ্ঞাপন


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গ্রেনেড হামলার পর পুলিশ টিয়ারশেল, লাঠিচার্জ করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সরিয়ে খুনীদের নির্বিঘ্নে পলায়নে সহায়তা করেছে। হতাহতদের উদ্ধারের ব্যবস্থা না করে সিটি করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে পানি ছিটিয়ে মামলার আলামত ধ্বংস করে দিয়েছিল। থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখেছে। মানুষ যখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তখনো মামলা নেয়নি। বিএনপি যদি এ গণহত্যায় জড়িত না থাকবে তাহলে তারা কেন এই কাজ করেছে?

বিএনপি জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে গ্রেনেড হামলাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া বললেন, শেখ হাসিনাকে আবার কে মারতে যাবে? ভ্যানিটি ব্যাগে করে তিনি নিজে গ্রেনেড নিয়ে গেছেন। কি নিষ্ঠুর পৈশাচিক রসিকতা!

হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বের মানুষের কাছে ছিলেন মহান ব্যক্তি, বিস্ময়কর রাজনৈতিক নেতা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ছোট্ট স্বাধীন দেশের দায়িত্ব নিয়ে মানুষের জন্য আবাসযোগ্য করার কাজ করে যাচ্ছিলেন। সেই বঙ্গবন্ধুকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্ঠা করা হয়েছে।

অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের জন্ম যারা মেনে নিতে পারেনি তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চায়নি, তারা বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছে। কিন্তু তার কন্যা শেখ হাসিনার বেঁচে গেছে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায়।

এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের মুল লক্ষ্য ছিল জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তিনি সেটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যারা মুক্তিযুক্ত চায়নি, বাংলাদেশ চায়নি, বাংলাদেশ চায়নি তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। 

সভাপতির বক্তব্যে ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্র একই একই সূত্রে গাঁথা। যতক্ষণ দেশ থেকে সন্ত্রাস, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ দমন করতে না পারব, ততদিন ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।

এসএএস/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর