শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবরের অপেক্ষায় ছিলেন জিয়া: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২, ০২:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবরের অপেক্ষায় ছিলেন জিয়া: তথ্যমন্ত্রী

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার খবরের অপেক্ষায় প্রস্তুত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় কাকডাকা ভোরে স্যুটেড বুটেড হয়ে প্রস্তুত ছিলেন জিয়াউর রহমান। এটাই প্রমাণ করে তিনি কোনো খবরের অপেক্ষায় ছিলেন। জিয়াউর রহমানকে যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার খবরটি দেওয়া হয় তখন তিনি বলেন 'সো হোয়াট, ভাইস প্রেসিডেন্ট হেয়ার'।


বিজ্ঞাপন


রোববার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় প্রেসক্লাব।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ আইনে রূপান্তর করে জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত করে পুনর্বাসিত করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আজ জাতির স্বার্থে সত্য কথা বলতেই হবে। সত্য না বললে একদিন কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। সত্যগুলো জানার অধিকার রয়েছে জাতির এবং সত্য বলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য পরবর্তীতে খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে তাদেরকে পুনর্বাসিত করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে বিরোধীদলের আসনে বসিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সব থেকে বড় বেনেফিশিয়ারি জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার। যেটা শুনতে অনেকের খারাপ লাগলেও সেটি সত্য।


বিজ্ঞাপন


হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দাবি উঠেছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কুশীলব যারা ছিলেন তাদের নাম একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে জাতির সামনে প্রকাশিত হোক। জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন মহল থেকে এই দাবি উঠেছে। এমনকি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও এই দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। এই কমিশন গঠনের জন্য ইতিমধ্যে কাজ চলছে। আইনমন্ত্রীও জানিয়েছেন এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে করা হবে।

ইতিহাসের সঠিক তথ্য উপস্থাপনের স্বার্থে এই কমিটি গঠন করা দরকার যাতে আজ থেকে ৫০ বছর পরেও মানুষ জানতে পারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের ষড়যন্ত্রকারী কারা ছিলেন। আজ থেকে একশ বা দুইশ বছর পরের প্রজন্ম যাতে সঠিক তথ্য জানতে পারে। সকল কুশীলবদের অনেকেই মারা গেছেন, আবার অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন। যারা বেঁচে আছেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।-যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুধুমাত্র যারা জড়িত ছিল তাদের তথ্যই আমরা জানি। কিন্তু এই ঘটনার পেছনে আর যে কেউ ছিল না সেটি আমরা জানি না। তাই আজকে এই কমিশনের মাধ্যমে জাতির সামনে উন্মোচিত হোক কারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারিগর ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চান নাই আজ তারা এ দেশের রাজনীতি করেন এমনকি তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা ও উঠছে।

টিএ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর