শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জ্বালানি খাতের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জাপার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২২, ০৯:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

জ্বালানি খাতের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জাপার

জ্বালানি খাতের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, দেশের মানুষ জানতে চায়, প্রতি বছর কত হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে জ্বালানি খাতে। কারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত? দুর্নীতির সাথে জড়িতদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বিচারের মুখোমুখি করতে হবে দুর্নীতিবাজদের।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডের ঈদগাহ মাঠে মিরপুর ও শাহ্আলী থানার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


জিএম কাদের বলেন, সরকার বলছে জ্বালানি তেলের মূল্যে ভর্তুকি দিচ্ছে। আসলে কোনো ভর্তুকি দেয়নি সরকার। কয়েক বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে, সেই টাকা দিয়েই তেলের মূল্য সমন্বয় করলে তেলের দাম বাড়াতে হতো না। তেলের দাম বাড়িয়ে মানুষকে মৃত্যুর যন্ত্রণার মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে সরকার দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, প্রতি বছর কারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, তাদের তালিকা জানতে চায় দেশের মানুষ। পাচারকারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। গেল বছর সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে চার লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সরকার পাচারকারীদের তথ্য প্রকাশ না করে নিজেকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দুর্নীতিবাজ ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অপরাধীদের পক্ষ নিচ্ছে সরকার। তাই, সাধারণ মানুষ মনে করছে বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের বাঁচাতে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করছে না। সরকার পানামা ও প্যারাডাইজ পেপারস কেলেঙ্কারির তদন্ত করেনি। কারণ, নিজেদের লোকজনের নাম প্রকাশ হবে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ইউরোপ, আমেরিকা আর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে দেওয়া উন্নয়নের নৌকা এখন শ্রীলঙ্কার পথে। দেশের স্বার্থে কথা বললেই সরকারের কিছু নেতা ষড়যন্ত্র খোঁজে। আমরা যখন বলেছি, দেশ শ্রীলঙ্কার মতো ব্যর্থ হতে চলছে, তখন আমাদের মূর্খ বলেছে। এখন আমাদের প্রশ্ন, দেশে লোডশেডিং কেন? ডলারের দাম এত বেড়েছে কেন? জ্বালানি তেলের দাম এত বেড়েছে কেন?  সারাদিন বিশ্বব্যাংক আর আইএমএফ-কে গালাগাল দিয়ে এখন ঋণের জন্য তাদের পেছনে ঘুরছেন কেন? বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনি এমন প্রতিষ্ঠানকে বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয়েছে শুধু লুটপাটের জন্য।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, যখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশি ছিল, তখন তেলের দাম বাড়েনি। যখন তেলের দাম কমেছে তখন তেলের দাম বাড়ল কেন? ২০১৪ সাল থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি করে ৪২ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছেন। মুনাফার সেই টাকা কোথায় গেল? ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ৮৭ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। সকল লুটপাটের জবাব দিতে হবে।


বিজ্ঞাপন


সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব শামসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, কাজী আবুল খায়ের প্রমুখ।

টিএই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর