আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হককে ঢাকা-১৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে শুভকামনা জানিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন জামায়াতের ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।
দুই দলের সমঝোতার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জামায়াত নেতা মোবারক হোসাইন তার ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা জানান। জামায়াত থেকে ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে তিনিই প্রার্থী ছিলেন।
মোবারক হোসাইন লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালনের পর আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের অধ্যায় শেষ হলো। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে জনসমর্থন গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকায় জামায়াতে ইসলামী ও দাঁড়িপাল্লার পক্ষে জনগণের ইতিবাচক সাড়া ও সমর্থন তৈরি হয়েছে, যা সাম্প্রতিক জরিপেও প্রতিফলিত হয়েছে- আলহামদুলিল্লাহ।’
আসনটির জনগণের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘এই আসনের সম্মানিত জনগণ এবং আমার সঙ্গে কাজ করা সব ভাই-বোনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। দায়িত্ব পালনের সময় কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে বিনীতভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। আমরা সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি অবিচল থেকে ইনসাফ, ন্যায় ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবো, ইনশাআল্লাহ।’
সবশেষে জামায়াতের এই নেতা লিখেছেন, ‘মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সব প্রচেষ্টা কবুল করুন, আমিন।’
বিজ্ঞাপন
মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকা নিয়ে ঢাকা-১৩। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা তিন দফা আসনটির সংসদ সদস্য ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। এবার নতুন মুখ দেখার অপেক্ষায় সেখানকার মানুষ।
এবার নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রার্থী করা হয়েছে ববি হাজ্জাজকে। নিজের দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (এনডিএম) বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন মোবারক হোসাইন।
তবে মোবারক সরে দাঁড়ানোয় এখন আসনটিতে তাদের সমর্থিত প্রার্থী মামুনুল হক। ফলে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তার এবং বিএনপির ববি হাজ্জাজের মধ্যে। সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে এখন চলছে দলগুলোর জোর প্রস্তুতি।
এএইচ
