ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের আটক করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। এই ব্যর্থতা সরকারের অনেক অর্জনকে ম্লান করবে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ওসমান হাদিকে গুলি করার পর আজ পনের দিন অতিক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু তাকে গুলি করা অপরাধীকে এখনও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজধানীর বুকে একজনকে দিবালোকে গুলি করার পরও অপরাধী এভাবে ধারা-ছোঁয়ার বাইরে থাকা স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা নির্দেশ করছে। একজন অপরাধী ৫৫ বছরের প্রশাসনকে এভাবে চোখে ধুলো দিতে পারবে, এটা কল্পনাও করা যায় না। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, ওসমান হাদীর জানাজা ও শোক পালনে সরকারকে অনেক বেশি মনোযোগী ও কাব্যিক হতে দেখলেও অপরাধীদের ধরতে সরকারের ব্যস্ততা আমাদের চোখে পড়ছে না। অথচ আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে এবং আধিপত্যবাদমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে এই হত্যাকারী ও হত্যার সাথে জড়িত অপশক্তির বিনাশ অপরিহার্য। সেই বিষয়ে সরকারের গা-ছাড়া ভাব আমাদেরকে হতাশ করেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র প্রশ্ন রেখে বলেন, যার জানাজার নামাজে রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী ও সেনাপ্রধানসহ রাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকেন, তার হত্যাকারীকে ধরতে রাজপথে অবস্থান নিতে হবে কেন? আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীতে প্রচুর বিনিয়োগ করা হয়েছে। অনেক যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। সেগুলো কোথায়? অবস্থার প্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন জোরালোভাবে দেখা দিচ্ছে যে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে পতিত ফ্যাসিবাদের পক্ষের লোকজন কি এখনও স্বদর্পে বিরাজ করছে? যদি তাই হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনে বিভিন্ন দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা কী হবে?
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান কাজ হলো জনগণের মনে আস্থা তৈরি করা। অপরাধ হলে দ্রুততার সঙ্গে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা। এটা না হলে মানুষ রাষ্ট্রের ওপর আস্থা হারায়। আর মানুষ রাষ্ট্রের ওপর আস্থা হারালে সেই দেশে নৈরাজ্য, অরাজকতা ও হটকারীদের বৃদ্ধি পায়। তাই সরকারকে বলবো, দ্রুত ব্যবস্থা নিন। কোথায় কোন সমস্যা থাকলে তা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করুন। যে কোনো মূল্যে জনগণের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতেই হবে, এবং সেজন্য দ্রুততার সঙ্গে ওসমান হাদীর হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে হবে।
এমআর/এআর
