দীর্ঘ ১৭ বছর নানা শঙ্কা ও আশঙ্কা কাটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারুণ্যের প্রতীকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একবার নিজের নেতাকে দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে তরুণরা। তারা বলছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান তারুণ্যের প্রতীক তাঁকে দেখতেই এখানে আসা।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত একটাতে কুরিল বিশ্বরোড ও তিনশো ফিটের আশেপাশের এলাকা ঘুরে তরুণদের এমন মনোভাব সম্পর্কে জানা যায়।
বিজ্ঞাপন
নওগাঁ জেলা থেকে এসেছেন নিশান খাঁন। তিনি একজন ছাত্রনেতা। ৫ আগস্টের আগে কয়েবার কারাবরণ করছেন। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি নওগাঁ থেকে আরও একদিন আগে এখানে এসেছি আমার নেতা তারেক রহমানের মাতৃভূমিতে ফিরে আসার ঐতিহাসিক মূহুর্ত দেখতে। একবার তাকে নিজ চোখে দেখব এটা আমার আশা। তিনি আমাদের তারুণ্যের প্রতীক।
বগুড়া থেকে আসা আরেক তরুণ আব্দুল মান্নান তিনি বলেন, আমরা ৬০ জনের একটি দল বাস নিয়ে এখানে এসেছেন, শুধু মাত্র তারেক রহমানের স্বদেশ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দেখতে। ঐতিহাসিক এ মূহুর্তকে নিজের করে রাখতে চান তিনি।
আরও কয়েকজন তরুণদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা রাজনীতিতে আসার পর থেকে নিজেদের নেতা পাননি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের নেতাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। তবে এখন তাদের নেতা দেশে ফিরে আসছেন। এটি তাদের জন্য আনন্দের ও আবেগের।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকায় নেমে প্রথমে ৩০০ ফিটে নিজের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারেক রহমান। সেখানে একমাত্র বক্তা হিসেবে বক্তব্যও দেবেন। এরপর যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন মা খালেদা জিয়াকে দেখতে।
বিজ্ঞাপন
পরদিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাবা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতে যাবেন তারেক রহমান। সেখান থেকে যাবেন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাতে। একই দিন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শরীফ ওসমান হাদির কবরও জিয়ারত করবেন তিনি।
এদিকে তারেক রহমানের সংবর্ধনাকে ঘিরে ৩০০ ফিটে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। এই অনুষ্ঠানে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগম হবে বলে আশা করছে দলটি। ইতোমধ্যে সংবর্ধনাস্থলে কয়েক লাখ নেতাকর্মী চলেও এসেছেন।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারাগারে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয় তারেক রহমানের ওপর। ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি সবগুলো মামলা থেকে জামিন পান। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। তৎকালীন সরকারের ষড়যন্ত্রে আর ফিরতে পারেননি।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হলে তারেক রহমানের দেশে ফেরার সব বাধা দূর হয়ে যায়। অবশেষে বিএনপির কোটি কোটি নেতাকর্মী।
এমএইচএইচ/

