বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, ‘আমাদের ভিশন এবং মিশন সামনে রেখে যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, তার মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে এমন একটি রাষ্ট্রে পরিণত করা যেখানে দুর্নীতি চিরবিদায়, সন্ত্রাস বিদায় এবং আইনশৃঙ্খলা নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘স্টার নির্বাচনী সংলাপ: আপনার দল, ভোটারের প্রশ্ন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘মায়ের কোলে যেমন শিশু নিরাপদ থাকে, বাংলাদেশের নাগরিকরাও যেন আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশে বাঁচতে পারে। আমাদের লক্ষ্য হলো নৈতিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষাকে কার্যকর করা, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মজীবনে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।’
এডুকেশন ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার মান প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নত করতে হবে। শিক্ষার বাজেট বর্তমানে জিডিপির ১.৬৯ শতাংশ, যা পর্যায়ক্রমে ৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে। কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং আন্তর্জাতিক ভাষা ও ইংরেজি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ এবং গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে তারা দেশের বাইরে জ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মেধা পাচার রোধ করতে হলে গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও শিক্ষার দুরাবস্থা এবং অর্থনীতির পেছানো অবস্থাকে ঠিক করার জন্য শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন অপরিহার্য।’
অর্থনীতি ও বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেসিক্যালি বাংলাদেশের সম্পদ সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়নি। এজন্য প্রান্তিক অর্থনীতি, ট্যাক্স নীতি ও বৈচিত্র্যময় বাণিজ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রতি তিন বছর অন্তর করদাতাদের জন্য ইনসেন্টিভ ব্যবস্থা চালু করা হবে। এ ছাড়াও নারী শিক্ষা, নারী অধিকার এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, কৃষকদের জন্য নতুন কার্ড ভিত্তিক রেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্যও সরকারি সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং তরুণদেরকে বেকার না রেখে দেশের অর্থনীতিতে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এএইচ/এফএ

