দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশে আসছে ‘জেবু’ নামে তার সেই আদরের এবং প্রিয় পোষা বিড়ালটিও।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, সাইবেরিয়ান ব্রিডের সাত বছর বয়সি ‘জেবু’র জন্য পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আদরের বিড়ালটিকেও দেশে নিয়ে আসবেন তারেক রহমান।
এর আগে গত অক্টোবরের প্রথম দিকে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার প্রিয় পোষ্যের খুনসুটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ছবিতে দেখা যায়, বিড়ালটির লেজ ধরে টানছেন তিনি।
অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, তারেক রহমান সোফায় বসে মোবাইল ঘাটছেন, পাশেই লেজ গুটিয়ে বসে আছে সেই বিড়ালটি। ছবি দেখেই বোঝা যায়, পোষ্যটি খুব আদরের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। কিন্তু বিড়ালটি কি তার? নাকি অন্য কারও আদরের?
বিজ্ঞাপন

গত ৭ অক্টোবর বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নে তারেক রহমানকে বলতে শোনা যায়, ‘বিড়ালটি আমার মেয়ের। ও (বিড়ালটি) এখন অবশ্য সবারই হয়ে গেছে। আমরা সবাই ওকে খুব আদর করি।’
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারাগারে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয় তারেক রহমানের ওপর। ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি সবগুলো মামলা থেকে জামিন পান। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। আর ফেরেননি। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সপরিবারে বসবাস করছেন সেন্ট্রাল লন্ডনের এডমন্টনে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। সবার একটাই প্রশ্ন, কবে তিনি দেশে ফিরবেন। বিএনপির শীর্ষ নেতারা যদিও বলছিলেন, শিগগিরই দেশে ফিরবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কিন্তু চূড়ান্ত কোনো তারিখ জানা যাচ্ছিল না।
অবশেষে গত ১২ ডিসেম্বর রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। এছাড়া বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ এবং মিডিয়া সেল থেকেও এ খবর জানানো হয়।
সেই থেকে ২৫ ডিসেম্বরের অপেক্ষায় বিএনপি। দলের ভেতর বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনা, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন তাদের প্রিয় নেতা। বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যেসব বাধা সৃষ্টি হয়েছিল, তারেক রহমান দেশে এলে সেসব দূর হয়ে যাবে।
এএইচ

