সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে শহীদ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটা ৪০ মিনিটের দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে উপস্থিত ছাত্রজনতাকে শান্ত করতে হাদির লাশবাহী গাড়ির ওপরে উঠেছিলেন জাতীয় নাগরিত পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েমসহ কয়েকজন জনপ্রিয় নেতা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ফেসবুকে ভেসে উঠছে ইরানি সমরনায়ক ও ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর মেজর কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সোলাইমানির লাশবাহী গাড়ির ছবি। সোলাইমানির লাশের গাড়িতেও উঠেছিলেন তার সমর্থকরা।
বিজ্ঞাপন
কাশেম সোলাইমানি ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি টার্গেট করা বিমান হামলায় নিহত হন। তার সাথে ফোর্সের আরো কিছু জনপ্রিয় সামরিক সদস্যরা নিহত হয়েছিলেন। সোলেইমানির জানাজায় কয়েক লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। জানাজায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আতিকা রহমান নামে একজন নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘হাদির ফ্রিজিং গাড়ি নিয়ে যারা আজে বাজে মন্তব্য করছেন, সমালোচনার ঝড় তুলছেন তাদের জন্য এই ছবিটা। ইরানে কাশেম সোলাইমানির জানাজায় মিলিয়ন মানুষ জড়ো হইছিলেন যা রুহুল্লাহ খোমেনির জানাজার পর ইরানের সবচে বড় জানাজা ছিলো। এভাবেই লাশবাহী গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় ভীড় ঠেলে। কাশেম সোলাইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে ডজন মানুষ মারা যায়।’
কাশেম সোলাইমানির লাশবাহী গাড়ির ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে আরাফাত রহমান শৈশব নামে একজন লিখেছেন, ‘আজকে হাসনাত আবদুল্লাহ, সাদিক কায়েম এবং আবদুল্লাহ আল জাবের ভাইদের মতো নেতা জনতাকে না সামলাইলে বড় অঘটন ঘটতে পারতো। কুড়ি সালে ইরানে কাশেম সোলাইমানির জানাজায় মিলিয়ন মানুষ জড়ো হইছিলেন যা রুহুল্লাহ খোমেনির জানাজার পর ইরানের সবচে বড় জানাজা ছিলো। কাশেম সোলাইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে ডজন মানুষ ইন্তেকাল করছিলেন। হাসনাত সাদিক জাবেরদের যোগ্য নেতৃত্বে আজ আমরা এই বিপদ এড়াইতে পারছি। তাদেরকে ধন্যবাদ।’
এর আগে শনিবার দুপুরে শহীদ ওসমান হাদির জানাজা শেষে তার লাশ নিয়ে রওনা হন হাসনাত-সাদিকসহ অন্যরা। এ সময় অসংখ্য মানুষকে লাশবাহী গাড়ির সাথে যেতে দেখা যায়। গাড়ির যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে গাড়ির ছাদে উঠে জনতাকে সামলানোর চেষ্টা করেন হাসনাত-সাদিকরা।
বিজ্ঞাপন
এসএইচ/এআর

