শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এনসিপি নেত্রী রুমীর মৃত্যুর খবর সর্বপ্রথম পুলিশকে জানিয়েছিলেন যিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১০ পিএম

শেয়ার করুন:

এনসিপি নেত্রী রুমীর মৃত্যুর খবর সর্বপ্রথম পুলিশকে জানিয়েছিলেন যিনি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী জান্নাত আরা রুমীর মৃত্যু নিয়ে নানা রহস্যের জন্ম নিয়েছে। তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের অভিযোগ, গত এক মাস যাবৎ তাকে সাইবার বুলিং, ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

‎‎বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।


বিজ্ঞাপন


‎‎তবে, এনসিপি নেত্রী ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পুলিশের। এ ঘটনায় সর্বপ্রথম থানা পুলিশকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানান, হোস্টেলের মালিক আফরোজা বেগমের মেয়ে জামাই আব্দুল মান্নান মৃধা। তিনি জানান, রাতে আমরা আমার শ্বাশুড়ির হোস্টেলের দায়িত্বে থাকা গৃহকর্মী রাজিয়া বেগমের মাধ্যমে জানতে পারি, একজন মেয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে রাতেই বিষয়টি আমি হাজারীবাগ থানার ওসিকে ফোনে জানাই। উনি আমাকে বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি।

‎‎এ সময় কথা হয় হোস্টেলের মালিক আফরোজা বেগমের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস এর সঙ্গে। তিনি বলেন, গতকাল রাতে আমার মা আমাকে ফোন করে একজন মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। পরে বিষয়টি আমার স্বামী পুলিশকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে।

‎‎তিনি আরও জানান, নিহত জান্নাত আরা রুমী নভেম্বরের ২৩ তারিখ আমাদের হোস্টেলে রুম ভাড়া নেয়। সে একাই এক রুম নিয়ে থাকতেন। আমরা তার যাবতীয় তথ্য আমাদের দিতে বললেও সে তেমন কিছুই আমাদের দেয়নি। সে হোস্টেলে ওঠার সময় বলেছে তার বাবা নেই। কিন্তু তার দেওয়া ভোটার আইডিতে যখন তার বাবার নামের জায়গায় মৃত দেখিনি। তখন আমার মা তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সে বলেছিল, এটা আগের আইডি কার্ড। এজন্য নামের জায়গায় মৃত লেখা নেই। এ ছাড়াও, সে গতকাল বিকেলে আমাদের হোস্টেলে দেওয়া তথ্য সম্বলিত কাগজটি আমাদের কাছ থেকে নিয়ে গেছে। সে বলেছে, এটা নাকি অফিসে জমা দিতে হবে। এরপর আর তা ফেরত দেয়নি।

‎হোস্টেলের গৃহকর্মী রাজিয়া বেগম জানান, ঘটনার আগে রাত ১০টায় খাবার নিয়ে বাসায় যায়। এরপর রাত আড়াইটার দিকে বাসায় চিল্লাচিল্লি দেখে নিচে যাই। এরপর নিচে গিয়ে শুনি আমাদের পাঁচ তলায় একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি বিষয়টি দ্রুত আমার হোস্টেলের মালিককে জানাই। তখন হোস্টেলের মালিক আমাকে দরজা খুলে দেখতে বললে আমি বেশ কয়েকবার দরজায় ধাক্কাধাক্কি করি। কিন্তু দরজা না খোলায় বিষয়টি আমি আবার হোস্টেলের মালিককে জানাই। তিনি আমাকে দরজা জোরে ধাক্কা দিয়ে খুলতে বললে আমি জোরে ধাক্কা দিয়ে ঘরের দরজা খুলে দেখি সে ঝুলে আছে। আমি দেখে ভয় পেয়ে চিৎকার দিয়ে চলে আসি। এরপর রুমে প্রবেশ করে দেখি বাসা এলোমেলো করা।


বিজ্ঞাপন


‎‎এ ছাড়াও, বাড়িটির কেয়ারটেকার আব্দুল খালেক বলেন, বাসার নিচে রাত আড়াইটায় একজন এসে মূল গেইটে জোর জোরে ধাক্কা দেয়। ওই সময় বাসার বাহিরে গিয়ে দেখি একজন বলতেছে, আমাদের বাসার পাঁচতলায় নাকি একজন মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিষয়টি আমি হোস্টেলের মালিককে জানালে রাতে তারা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে বাসার পাঁচতলা থেকে একজন মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।

‎‎এ ঘটনায় ময়নাতদন্ত শেষে হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, আমরা তার চাচাতো ভাই মেহেদী হাসানের কাছে এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমীর মরদেহ হস্তান্তর করেছি। পরে পরিবারের সদস্যরা তা বুঝে নিয়ে মেডিকেল থেকে চলে যায়।

‎‎একেএস/ এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর