সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে মামলায় গ্রেফতার দেখানোর দাবি জানিয়েছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সভাপতি খোমেনি এহসান। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।
খোমেনি এহসান বলেন, ‘আনিস আলমগীরকে ডিবি অফিসে ডাকার বদলে গ্রেপ্তার দেখানো হোক। কিছু হিন্দু ও কিছু সেক্যুলারকেপ গ্রেপ্তার করা হোক। হাদীকে গুলির ঘটনায় অন্ততঃ এক হাজার গণশত্রুকে গ্রেপ্তার করতে হবে। পাশাপাশি খুনীদেরও ধরতে হবে। এসব করলে সম্ভবতঃ ১৯৭৫ সালের নভেম্বরের পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে।’
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘যতদূর জানি ভারতের পক্ষে একটা নীরব সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে, হাদীকে গুলি করার ঘটনা পুরো চিত্রের উপরিভাগের সামান্য একটি দিক। ভেতরকার অনেক ঘটনা শিগগির ফাঁস হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দুরা রাজাকারের ছবি পদদলিত করে একটি বার্তা দিয়েছে। পিলখানার তদন্ত কমিশনের নিরাপত্তা প্রত্যাহারও বার্তা। আজ ঢাকা ট্রাইব্যুনালে গুমখুনে জড়িত সেনাকর্মকর্তাদের চার্জ গঠনের কথা থাকলেও তা হয়নি৷ এছাড়া আরও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আছে, যা কৌশলগত কারণে প্রকাশ করা হবে না।’
বিজ্ঞাপন
‘আমার ধারণা এসব বোকা অভ্যুত্থান টিকবে না ইনশাআল্লাহ। কাউন্টার রেভ্যুলশন মানে একটা ব্লাডশেড হয়ে সমাধান হবে। ৫ আগস্টে হাসিনার পতন মেনে নিতে না পারলে কার কী করার আছে৷ কারো হাউশ মতো হাসিনার পতনের পর সেনা অভুত্থান হওয়ার কিছু নাই৷ মুরোদ থাকলে করতো। ছাত্রজনতাকে হত্যার পরেও বেঁচে গেছে অথচ শোকরিয়া নাই। আর নোংরামিরও সীমা থাকা দরকার। একদিকে বলে দ্রুত নির্বাচন চাই, মানে ড. ইউনূস দ্রুত চলে যাক, আবার ভোটের তারিখ ঘোষণার পর বলছে নির্বাচন চাই না ড. ইউনূস চলে যাক৷ মানে তিন বছর ক্ষমতায় থাকার সাধ মিটতে হবে।’ বলেন খোমেনি এহসান।
খোমেনি এহসান বলেন, ‘যাই হোক, ৫ আগস্ট থেকেই চলছে ভণ্ডামি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নেশা বহুজনের। সবাই দেখে একটা পাতানো ভোট হবে এবং নিজে প্রধানমন্ত্রী হবে। অথচ আসল খেলাটা রক্তের। এর মধ্যে আজ একটা সিগনিফিক্যান্ট ঘটনা হলো জুলাইয়ের তরুণরা অনেকে সশস্ত্র লড়াইয়ের দাবি জানিয়েছে৷ এর মানে হলো হাদীকে গুলিসহ সামগ্রিক প্রতি বিপ্লবী তৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণ ফের ঘুরে দাঁড়াবে। সাতই নভেম্বর ইজ কামিং। ইনশাআল্লাহ।’
ক.ম/

