বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের মানুষ যখন স্বপ্ন দেখছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। ঠিক তখনই বাংলাদেশের শত্রুরা হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে।’
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন একটা নতুন অধ্যায়ের দিকে একটা নতুন সূর্য দেখছে, বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। ঠিক সেই সময় আবার নতুন করে বাংলাদেশের শত্রুরা হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে। গত পরশু যে ঘটনা ঘটেছে (ওসমান হাদির ওপর হামলা) আমরা তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। আমরা আশঙ্কা করছি যে, এরকম আরও ঘটনা ঘটতে পারে।’
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, ‘যখন পাক হানাদার বাহিনীর জয় অসাধ্য হয়ে উঠেছিল, চতুর্দিক থেকে যখন মুক্তিবাহিনী ঢাকা ঘিরে ফেলেছে; সেই সময় পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের সমস্ত মেধাকে বিনষ্ট করে দেওয়ার জন্য দোসরদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, গবেষক, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ অনেককে তারা তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। এভাবেই আমরা আমাদের সর্বশেষ্ঠ সন্তানদের হারাই। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে মেধাহীন করে দেওয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। আজকে আমাদের এই দিনে বার বার আমরা সেই কথা মনে করি। একইভাবে আমরা সবাই জানি যে, ২০২৪ সালে আমাদের সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত পরশু যে ঘটনা ঘটেছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং আমরা আশঙ্কা করছি যে, এইরকম আরও ঘটনা ঘটতে পারে।’
বিজ্ঞাপন
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আমাদের অসুস্থ নেত্রী খালেদা জিয়া, আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসেছি এবং শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমরা এই শপথ নিয়েছি যে, আমরা যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করব, সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করব এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এই দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমাদের নেতা আমাদের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই বাংলাদেশের যে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন তার প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
এমআর/এফএ

