শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভোটযুদ্ধ মোকাবিলায় একযোগে নামুন: নেতাকর্মীদের তারেক রহমান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ভোটযুদ্ধ মোকাবিলায় একযোগে নামুন: নেতাকর্মীদের তারেক রহমান

ভোট যুদ্ধ মোকাবিলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের একযোগে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় সারাদেশ থেকে আসা দলের মাঠ নেতাদের উদ্দেশ্যে এই আহ্বান জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা পরীক্ষিত নেতাকর্মী।  শত অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যেও আপনারা এই দলকে ধরে রেখেছেন। সেই ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে গত স্বৈরাচারের ১৫ বছরের ষড়যন্ত্র সব আপনারা মোকাবেলা করেছেন। তাহলে এখন কেন এই সামনের যেই নির্বাচনী যুদ্ধ এই যুদ্ধ মোকাবেলা করতে পারবেন না?  আপনার দলের যে পরিকল্পনা জনগণকে ঘিরে দেশকে ঘিরে কেন সেটা জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারবেন না। চাইলেই আপনারা এটা করতে পারবেন, এটা করতে হবে।’

তারেক রহমান বলেন, দেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবে রুপ দিতে হলে আমাদের জনগণের সমর্থন প্রয়োজন এবং জনগনের সমর্থনকে দলের পেছনে আনতে হলে আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন। আসুন আমরা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমি কি আপনাদের কাছে সেই প্রত্যাশা রাখতে পারি যে, আপনারা এখান থেকে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গিয়ে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনার কর্মসূচি’ শীর্ষক এই কর্মশালা হয়। এই কর্মশালায় সারা দেশে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা অংশ নেন। গত রোববার থেকে এই কর্মশালা শুরু হয়। প্রতিদিন দলের একেকটি অঙ্গসংগঠনের নেতারা অংশ নেন।


বিজ্ঞাপন


‘ধানের শীষের পক্ষে জনমত গড়তে হবে’

তারেক রহমান বলেন, ‘আপনি নিজের এলাকায় যাবেন,  আপনি কষ্ট করবেন আপনার দলের পরিকল্পনাগুলোকে সফল করার জন্য। আপনার সামনে থাকবে ধানের শীষ। আপনার সামনে কোন ব্যক্তি থাকবে না। ধানের শীষকে আপনি বের করে নিয়ে আসবেন, ধানের শীষের পক্ষে আপনি জনগণের মতামতকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। ধানের শীষের জন্য আপনি জনগণের মতামতকে এক জায়গায় ব্যালট বক্সের ভেতরে নিয়ে আসবেন।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ার‌ম্যান বলেন, ‘আপনাদের মিটিং করে বললে হবে না। ছোট ছোট গ্রুপ করে ঘরে ঘরে যেতে হবে, মাঠে মাঠে যেতে হবে। কৃষকের ক্ষেতে যেতে হবে। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিম সাহেবদের কাছে যেতে হবে, প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুলের শিক্ষকদের কাছে যেতে হবে, ঘরে ঘরে মা-বোনদের কাছে যেতে হবে, স্কুল কলেজের তরুণ-তরুণীদের কাছে যেতে হবে, যুবকদের কাছে যেতে হবে। আপনারা পেরেছেন স্বৈরাচারকে মোকাবেলা করতে আপনারা পেরেছেন ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে, গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপনের এই কাজেও আপনারা সফল হবে এই প্রত্যাশা আমি করছি।’

মাঠে নামলে বিভ্রান্তিকারীও পিছু হটবে

তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনাগুলো জনগণকে জানতে হবে। আপনারা ছাড়া জনগণের পক্ষে জানা সম্ভব না। আপনি যদি না যান, আরেকজন যাচ্ছে সে গিয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে জনগণের মাঝে। কাজেই আপনি এই মিথ্যা বিভ্রান্তি বন্ধ তখনই হবে যখন আপনি মাঠে হাজির হয়ে যাবেন। আপনি যখন মাঠে হাজির হয়ে যাবেন তখন এই বিভ্রান্তি কিন্তু সে ছড়াতে পারবে না। আপনার একটা ভিডিও দেখেছেন…কয়েজন মহিলা গিয়ে এক মহিলাকে বলছে বাচ্চার মাথায় রেখে তখন মহিলা প্রতিবাদ করে উঠেছে। এরকম ঘটনা হচ্ছে। আপনারা আজকে মাঠে নেমেছেন বলেই কিন্তু আজকে যারা প্রতিবাদ করার তারাও সাহস পাচ্ছে। আপনি যখন আরো মাঠে নামবেন তখন এই ধরনের প্রতিবাদ আরো বাড়বে।”

‘নিয়ম সবার জন্য সমান হতে হবে’

তারেক রহমান বলেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম কিছু ব্যক্তি  মসজিদে গিয়ে তারা তাদের কথা বলছেন। তারা যদি বলতে পারে…আপনি কেন বলতে পারবেন না। বললে সবাই বলবে, না বললে কেউ বলতে পারবেন না। আপনি আপনার এলাকায় সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। বললে সবাই সবার বলার অধিকার আছে। আর যদি কোথাও নিয়ম হয়ে থাকে সেই বলবে না। তাহলে সেই নিয়ম সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে। কোন বিশেষ কারো জন্য হবে আর কারো জন্য হবে না…এটা তো হতে পারে না।

‘দেশ গড়া পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর