সদ্য পদত্যাগ করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ গণঅধিকার পরিষদে যোগদানের বিষয়ে ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
রাশেদ খান বলেন, ‘সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এক সময় আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন এবং তার সঙ্গে আমাদের সখ্যতা রয়েছে। তিনি পদত্যাগ করার আগের দিনও তার সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদে আসার ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চান। সেক্ষেত্রে তার যোগ্যতা ও মর্যাদা অনুযায়ী তাকে সম্মানিত করা হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের তিনি নায়ক। তিনি চাইলে যেকোনো দলে যোগদান করতে পারেন। অথবা নতুন দলও গঠন করতে পারেন। সেই স্বাধীনতা তার রয়েছে। যেহেতু আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি, আমাদের সঙ্গে তার সখ্যতা রয়েছে, সেক্ষেত্রে গণঅধিকার পরিষদে আসলে তার জন্য ভালো হবে। তিনি সহজে আমাদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন। যেটি অন্য দলের ক্ষেত্রে তার জন্য কঠিন হবে। তিনি যদি চান গণঅধিকার পরিষদে আসতে পারেন। তার জন্য গণঅধিকার পরিষদের দরজা সবসময় খোলা রয়েছে।’
রাশেদ খান বলেন, ‘তিনি (আসিফ) উপদেষ্টা ছিলেন, সরকারে থাকলে সমালোচনা হয়। বয়স তো খুব বেশি না, এই বয়সে বেশকিছু ভুল-ভ্রান্তি করেছেন। আমরা মনে করি বয়স বাড়ার সঙ্গে তার ভেতরে পরিপক্কতা বাড়বে। বুঝবেন, দেখবেন, শিখবেন। তার ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা করা এই মুহূর্তে সমীচীন নয়।’
জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে রাশেদ বলেন, ‘আসিফ মাহমুদের জন্যই ৬ আগস্টের কর্মসূচি একদিন এগিয়ে ৫ আগস্ট করা হয়। এই সাহসী ভূমিকা ছিল তার। যে সিদ্ধান্তের কারণে স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হয়। তার প্রতি আমাদের ভালোবাসা দেখানো উচিত।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার উদ্দেশ্যে উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন আসিফ মাহমুদ। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে, তিনি ঢাকা-১০ আসন (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) থেকে নির্বাচন করতে পারেন। ইতোমধ্যে তিনি এ আসনের ভোটারও হয়েছেন।
এসএইচ/এফএ

