জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও দলটির এক সময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে বাকযুদ্ধ ও তিক্ততা বেড়েই চলেছে। দুই দলই একে অন্যের বিরুদ্ধে 'আওয়ামী লীগের ভাষায়' কথা বলার অভিযোগ করছে, যা রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি করেছে।
সাম্প্রতিককালে দল দুটির কেন্দ্রীয় নেতারা সভা সমাবেশে পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় আসছিলেন। তবে এটি ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে দুই দলের দুই শীর্ষ নেতাও সেই ধারায় বক্তব্য রাখার পর।
বিজ্ঞাপন
শনিবার সিলেটে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দেওয়ার পর রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল এক বক্তব্যে তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে লন্ডনে অবস্থান করা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এদিকে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের পরস্পরকে সমালোচনা করে দেওয়া বক্তব্যের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে উভয় দলের কর্মী ও সমর্থকদেরকেও। নিজ দলের প্রশংসা ও প্রতিপক্ষ দলকে ইঙ্গিত করে সমালোচনামূলক নানা পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে তাদের।
দল দুটির মধ্যে তিক্ততা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে- পাবনা, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহ, চাঁদপুর, রাজশাহী ও নরসিংদীসহ দেশের কোনো কোনো জায়গায় তা সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে।
পরস্পরবিরোধী বাহাস কিংবা তিক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে, দুই দলের নেতারাই এজন্য একে অন্যকে দায়ী করে রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলছেন, ‘আমরা যা বলছি তা ইতিহাসভিত্তিক ও সত্যি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।’
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলছেন, ‘বিএনপির দিক থেকে কিছু আক্রমণাত্মক বক্তব্য আসছে, যা অপ্রত্যাশিত।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দল দুটির নেতাদের বক্তব্য শুনে তার মনে হয়েছে যে, তারা উভয়েই একে অন্যকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছেন। তার ধারণা, এটি চলতে থাকলে ভোটের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আরেকজন বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন বলছেন, মূল বিষয় হলো ভোট টানা এবং এক্ষেত্রে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ইস্যু আর জামায়াত দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির ইস্যু সামনে নিয়ে এসেছে।
যা বলেছেন দুই শীর্ষ নেতা
শনিবার সিলেটে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, একদল চাঁদাবাজির কারণে জনগণের ঘৃণা কুড়িয়েছে, আরেক দল আবার তার চেয়ে বেশি শক্তি নিয়ে চাঁদাবাজিতে নেমে পড়েছে। ‘একদল দখলদার বনতে গিয়ে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, আরেক দল বেপরোয়া দখলদার হয়ে উঠেছে। একদল জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, আরেক দল একই পথ ধরেছে, এমনকি নিজেদের মধ্যে মারামারিতে নিজেদের শেষ করে দিচ্ছে,’ বলেছেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, শফিকুর রহমান আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ইঙ্গিত করে এই বক্তব্য দিয়েছেন। ফলে এটি বিএনপির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে, যা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে রোববার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তৃতায়।
ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তারেক রহমান জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘তাদেরকে তো দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে। ১৯৭১ সালে তারা তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে কীভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে ঠিক যেভাবে পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে যাবার আগে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছিল ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য।’
পাশাপাশি সাম্প্রতিককালে বিএনপিকে লক্ষ্য করে জামায়াত নেতারা বিভিন্ন সভা সমাবেশে দুর্নীতির বিষয়ে যেসব অভিযোগ করেছেন তারও জবাব দিয়েছেন তারেক রহমান।’
‘কেউ কেউ বলে থাকে পলাতক স্বৈরাচার বিএনপির সম্পর্কে যেভাবে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াতো, আমরা ইদানীং লক্ষ্য করছি কিছু কিছু ব্যক্তি বা দল ঠিক একই সুরে গান গাইছে বা একই সুরে কথা বলার চেষ্টা করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাদেরও তো দু'জন ব্যক্তি আমাদের সাথে সেইসময় সরকারে ছিল,’ বলেছেন তিনি।
আজ সোমবারও এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় তারেক রহমান বলেছেন, ‘এখন দেশে এক ধরনের প্রচারণা চলছে- একজন বিশেষ কেউ ভালো, আর বাকি সবাই খারাপ, এটা গণতন্ত্রের জন্য ডেঞ্জারাস ব্যাপার।’
এর আগে দল দুটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসেছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ১১ নভেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে এক বক্তৃতায় বলেন, ‘জামায়াতের টিকিট কাটলেই কি কেউ বেহেশতে যেতে পারবে? যারা এসব মুনাফেকি করে, তাদের কাছ থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।’
এরপর ২০ নভেম্বর খুলনায় এক অনুষ্ঠানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছিলেন, বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে। তারা বর্তমানে মাহফিলে বাধা দেয়, মা–বোনদের তালিম প্রোগ্রামে বাধা দেয়। এটি করে তারা জামায়াতকে নয়, মূলত ইসলামকে বাধাগ্রস্ত করছে।
এরপর বিএনপি নেতারা জামায়াতের বিরুদ্ধে ধর্ম ব্যবহারের অভিযোগ তুলে কড়া ভাষায় তার জবাব দিয়েছেন।
দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গত বুধবার ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘জামায়াতের জন্য আওয়ামী লীগই ভালো ছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বিরুদ্ধে ছিল, তারা এখন ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে।’
এরপর শিবির নেতা ও ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের ঠাকুরগাঁওয়ে দেওয়া এক বক্তব্যেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি নেতাদের অনেকেই। তিনি তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘লন্ডন, দিল্লি, পিন্ডিতে বসে আর কোনো রাজনীতি চলবে না। নতুন বাংলাদেশের রাজনীতি—দেশেই হবে সিদ্ধান্ত।’
ধারাবাহিক এসব পাল্টাপাল্টি বক্তৃতার মধ্যেই কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী ও সমর্থকরা।
প্রসঙ্গত, উনিশশো একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিরোধিতা করা জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে। এরপর ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর জামায়াতের সমর্থন নিয়েই সরকার গঠন করেছিল বিএনপি।
পরে ১৯৯৬ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জোটবদ্ধ হয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ের পর জামায়াতকে সাথেই নিয়েই সরকার গঠন করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জামায়াতের দুজন শীর্ষ নেতা প্রথমবারের মতো সরকারেও ঠাঁই পেয়েছিলেন মন্ত্রী হিসেবে।
তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এক পর্যায়ে দূরত্ব তৈরি হয় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যকার জোটও ভেঙে যায়। এরপর ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দলের মতবিরোধ আরও বাড়তে থাকে।
বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠক করে যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করায় তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করেছিল জামায়াত। আবার জামায়াতসহ কয়েকটি দল পিআর পদ্ধতিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তুললে তার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল বিএনপি। আবার নির্বাচন নাকি সংস্কার-কোনটি আগে কয়েক মাস আগে এমন বিতর্কেও দল দুটি একে অপরের অবস্থানের বিপরীতে ছিল।
এরপর থেকেই মূলত জামায়াত নেতারা কখনো সরাসরি আবার কখনো ইঙ্গিতে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির বিরুদ্ধে। এর জবাবে বিএনপি নেতারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধিতার তথ্য দিয়ে তীব্র সমালোচনা করছেন জামায়াতের।
তিক্ততার যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন নেতারা
বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যকার তিক্ততা ও বাদানুবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমরা যা বলছি তা ইতিহাসভিত্তিক ও সত্যি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু অপর পক্ষ যা বলছে তার কোনো প্রমাণ বা সত্যতা নেই। তারা যা করছ সেটি ব্লেম গেম ও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’
তিনি অবশ্য এও বলেন যে, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য অনেক সময় এসে যায়। এটি হয়তো তারই অংশ। তবে, আমরা আশা করবো গণতন্ত্রের বিকাশে রাজনৈতিক সংস্কৃতির সৌন্দর্য বজায় রেখে আমরা সকলে রাজনৈতিক সমালোচনা করবো।’
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলছেন, বিএনপির দিক থেকেই কিছু আক্রমণাত্মক বক্তব্য আসছে, যা তারা প্রত্যাশা করেননি।
‘রাজনীতিতে স্ব স্ব দলের নীতি আদর্শ আছে। আবার কিছু বিষয় দ্বিমত ভিন্নমত আছে। দিন শেষে জনগণের জন্য রাজনীতি। আমাদের আমির বলেছেন, একটা দল নির্বাচনের জন্য প্রতিদিন কথাবার্তা বলতো। এখন বলছে না। এগুলোতো দৃশ্যমান। গণমাধ্যমে আসছে। সেটিই তিনি বলেছেন,’ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন তিনি।
জোবায়েরও অবশ্য বলেন যে, নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিন্ন বক্তব্য আসা অস্বাভাবিক না, তবে শিষ্টাচার বজায় রাখার দিকে সবাই গুরুত্ব দেবে বলে তিনিও আশা প্রকাশ করেছেন।
'তারা একে অপরকে ঘায়েল' করতে চাইছেন?
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলছেন, গত কিছুদিন ধরে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন পরস্পরকে নিয়ে তা দেখে মনে হচ্ছে যে 'তারা একে অপরকে ঘায়েল' করতে চাইছেন।
‘এটি অনেকটা টিট ফর ট্যাট (ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে) এর মতো। দুই দলকেই এর দায় নিতে হবে। এভাবে টাসল (বাহাস) চললে সেটি ভোটারদেরও নিরুৎসাহিত করবে এবং ভোটে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষ এতে বিরক্ত হচ্ছে,’ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।
কিন্তু কেন দুটি ইস্যুতে দুই দল গুরুত্ব দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বলছেন, দুই দলই চাইছে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা সামনে এনে ঘায়েল করতে এবং এর মূল লক্ষ্য হলো ভোটের মাঠে সুবিধা করা।
তার মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কালে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবজ্ঞা, মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন ভেঙে ফেলার মতো ঘটনাগুলো ঘটেছে, যা নিয়ে বহু মানুষই উদ্বিগ্ন ও বিরক্ত। আবার আওয়ামী লীগের সমর্থকদেরও একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভোট আছে, যারা এ ইস্যুতে সবসময়ই স্পর্শকাতর।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিদায়ের পর সারাদেশে বিএনপির অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অভিযোগও প্রকট। এসব কারণে বিএনপি নিজেই বহু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।
‘আমার মনে হয় জামায়াতকে ঘায়েল করার অস্ত্র হিসেবেই বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুটি সামনে আনছে। কারণ বেশির ভাগ মানুষের কাছেই মুক্তিযুদ্ধ অনেক বড় আবেগের জায়গা। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভোট নিজের দিকে টানার চিন্তা তো আছেই। অন্য দিকে পাল্টা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বের ইস্যু সামনে এনে জামায়াতও জনগণকে বোঝাতে চাইছে যে, আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির পার্থক্য নেই,’ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা
জেবি

