সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় আসতে চায় কাতার সরকারের ব্যবস্থাপনায় পাঠানো জার্মানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
এজন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন দেওয়া হয়েছে। সেই আবেদনের প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে বেবিচকের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, লন্ডন থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসার জন্য জার্মান এভিয়েশন কোম্পানি এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপ আজ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আবেদন করেছে।
আবেদনে ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অবতরণ এবং ১০ ডিসেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার জন্য ফ্লাইট শিডিউল চাওয়া হয়েছে। এখন এই অনুমতি মিললে মঙ্গলবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় ঢুকবে। এর পরদিন খালেদাকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
এদিকে বেবিচকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) লন্ডনে পাঠানো হবে কি না, তা নির্ভর করছে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা চিকিৎসকদের ওপর। তারাই সিদ্ধান্ত দেবেন, কখন তাকে নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য জার্মানির এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপ থেকে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করেছে কাতার সরকার।
অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহন করতে যাওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামের ফ্লাইটকে ‘ভিভিআইপি’ হিসেবে চিহ্নিত করে শিডিউল অনুমোদন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যদিও এ সংক্রান্ত চিঠি এখনো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাহী পরিচালক রাগিব সামাদ।
তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমি শুনেছি, কিন্তু চিঠি বা এ বিষয়ে সঠিক কিছু জানি না। এ বিষয়ে আমি কথা বলারও কেউ না।’
এদিকে শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ম্যাডামের লন্ডন যাত্রা পিছিয়েছে। এই মুহূর্তে নতুন করে কোনো তারিখ বলতে পারছি না। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার পর যেকোনো দিন উনাকে নেওয়া হবে।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার সুস্থতার অপেক্ষায় বিএনপিসহ গোটা দেশ। কিডনি ও লিভারের সমস্যায় ভুগে তার অবস্থা এখন সংকটাপন্ন।
এমআইকে/এএইচ

