রোববার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘এমপিদের সংসদে প্রবেশের পথটি শুরু হয় আইন ভঙ্গ ও মিথ্যা বলে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

Zara
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। 

এমপিদের সংসদে প্রবেশের পথটি অনেক ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গ ও মিথ্যা বলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। 

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।


বিজ্ঞাপন


এনসিপি নেত্রী লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে একজন প্রার্থী আইনগতভাবে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে এই বিধান প্রায়ই অনুসরণ করা হয় না। প্রচলিত তথ্যানুযায়ী, অনেক প্রার্থী ২০, ৫০ বা ১০০ কোটির মতো বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যয় করেন। অথচ তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে মাত্র ২৫ লাখ টাকা খরচের হিসাব জমা দেন। এর ফলে প্রায় সকল এমপির সংসদে প্রবেশের পথটিই শুরু হয় আইন ভঙ্গ ও মিথ্যা বলে।’

তিনি লিখেছেন, ‘আমি এই অসততা ও মিথ্যার রাজনীতিতে অংশ নেব না। আমি এনসিপি থেকে ঢাকা-৯ আসনে মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছি এবং প্রতিজ্ঞা করছি যে, আইনে অনুমোদিত সীমার বাইরে আমি এক টাকাও খরচ করব না।’

তাসনিম জারা লিখেছেন, ‘অনেকেই বলে থাকেন, এত কম ব্যয়ে নির্বাচন করা অসম্ভব। আমি তাদের বলেছি, আমরা প্রমাণ করব যে এটা সম্ভব। নির্বাচনের পরই নয়, নির্বাচনের আগেই নিয়মিতভাবে আমি আমার প্রাপ্ত অর্থ ও ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করব। সবকিছুই হবে সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে।’

নির্বাচনি প্রচারণায় সহায়তা কামনা করে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করব, যা দেখাবে যে সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে, অর্থ ও পেশিশক্তির চক্রের বাইরে থেকেও নির্বাচন করা সম্ভব। কিন্তু এই পথে আমাদের আপনার সহযোগিতা প্রয়োজন। অন্য প্রার্থীরা যে কাজগুলো অর্থের বিনিময়ে করান, আমাদের ক্ষেত্রে সেগুলো করতে হবে আপনার সময়, শ্রম ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে। আমরা একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম গড়ে তুলব।’


বিজ্ঞাপন


এনসিপি নেত্রী যোগ করেন, ‘আপনি ঢাকা-৯ (খিলগাঁও, সবুজবাগ, মুগদা, মান্ডা), দেশের অন্য যেকোনো অঞ্চল বা প্রবাসে থাকলেও এই প্রচারণায় সহায়তা করতে পারেন। সহযোগিতার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। সে জন্য আমরা একটি সংক্ষিপ্ত ফর্ম তৈরি করেছি, যেখানে আপনি জানাতে পারবেন কীভাবে সাহায্য করতে চান।’

# কেউ গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারেন,
# কেউ ভিডিও ধারণ বা সম্পাদনায় সহায়তা করতে পারেন,
# কেউ উঠান বৈঠক আয়োজনে ভূমিকা রাখতে পারেন,
# কেউ তহবিল সংগ্রহে সহযোগিতা করতে পারেন,
# কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন,
# অথবা অন্য যেকোনোভাবে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী অবদান রাখতে পারেন।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ফর্মটি পূরণ করতে মাত্র দুই মিনিট সময় লাগবে। আমি চাই, এই নির্বাচন হোক আপনার নিজের নির্বাচন। আমরা একসাথে টিম গড়ে তুলব, প্রশিক্ষণ দেব এবং ধাপে ধাপে সবাইকে সম্পৃক্ত করব। সততা নিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব—এটা আমরা মিলে প্রমাণ করব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রাজনীতি যদি দুর্নীতি, পেশিশক্তি ও মিথ্যার চক্র থেকে বেরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের হাতে ফিরে আসে, তাহলে সম্ভাবনা হবে অফুরন্ত।’

পোস্টের শেষে তিনি স্বেচ্ছাসেবক ফর্মের লিঙ্ক (https://forms.gle/V4rLVK7fHAwNL2AY6) সংযুক্ত করেন।

এম/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর